নিকলীর ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্টের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের দেড় কোটি টাকা নিয়ে আত্নগোপনে

নিকলীর ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্টের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের দেড় কোটি টাকা নিয়ে আত্নগোপনে

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহকদের দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আবুল কালাম আজাদ নামের এজেন্ট গ্রাহকদের টাকা আত্মসাত করে দুবাই পাড়ি জমিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। টাকা ফেরতের নাম করে গ্রাহকদের কাছ থেকে আগেই তাদের টাকা জমা দেওয়ার রসিদগুলো সংগ্রহ করে নিয়েছেন। ফলে গ্রাহকরা মামলা করার জন্য কোন প্রমাণপত্রও দেখাতে পারছেন না।

এদিকে ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এরিয়া ম্যানেজার মো. ফরিদ হোসেন জানিয়েছেন, তাঁরা অনুসন্ধান করে ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছেন। এর বাইরে আরও টাকা আত্মসাত হয়ে থাকলে এর কোন প্রমাণ তাদের কাছে নেই। তিনি বাদী হয়ে গত ২২ জানুয়ারি আদালতে মামলাও করেছেন বলে জানিয়েছেন। আবুল কালাম আজাদ নিকলীর দামপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান নির্বাচিত মেম্বার বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন।

এলাকার গ্রাহক রইছ উদ্দিন, মন্টু রায়, সিদ্দিক হোসেন ও রাধানাথ মল্লিকসহ অনেকেই জানান, দামপাড়া বাজারে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের শাখা খুলেছিলেন মেম্বার আবুল কালাম আজাদ। এরপর ১১ শতাংশ সুদের কথা বললে তারা সেখানে টাকা সঞ্চয় করেন। গত ১৯ জানুয়ারি লাভসহ টাকা ফেরত দেওয়ার তারিখ দিয়ে আবুল কালাম আজাদ উধাও হয়ে যান। এখানে রইছ উদ্দিন ১০ লাখ, মন্টু রায় ১০ লাখ ৫০ হাজার, রাধানাথ মল্লিক ৬ লাখ, যমুনা খাতুন ৪ লাখ, সিদ্দিক হোসেন ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা রেখেছিলেন। অনেকে বিদেশ থেকে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিবারের কাছে টাকা পাঠিয়েছেন বলেও তারা জানিয়েছেন।

তারা জানান, এজেন্ট আবুল কালাম আজাদ আগেই গ্রাহকদের কাছ থেকে সব টাকা জমার রসিদ সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন। যে কারণে এখন মামলা করার মত তথ্যপ্রমাণও হাতে নেই।

ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, তিনিও লোকমুখে টাকা আত্মসাতের কথা শুনেছেন। তবে কয়েকদিন ধরে আবুল কালাম আজাদের সাথে দেখাসাক্ষাত নেই। তিনি বর্তমানে কোথায় আছেন, তাও চেয়ারম্যান বলতে পারছেন না। এরিয়া ম্যানেজার ফরিদ হোসেনও এজেন্ট আবুল কালাম আজাদ পলাতক বলে জানিয়েছেন। তবে কোথায় আছেন, তা জানা নেই।

নিকলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন, এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গতবছর মার্চ মাসে হোসেনপুরের জিনারি বোর্ড বাজারেও ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। এজেন্ট আলমগীর হোসেন অনেক দিন আত্মগোপনে ছিলেন। থানায় মামলাও হয়েছিল। পরবর্তীতে টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এজেন্ট আলমগীর আবার এলাকায় ফিরে আসেন।

More News...

১৭৩ জন বাংলাদেশী মিয়ানমার কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন

বিড়ির শুল্ক প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে পাবনায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান