পাবনা প্রতিনিধি : রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘আমি টপকে পড়িনি, একেবারে রাজপথ থেকে বঙ্গভবনে গিয়েছি। পাবনার রাজপথ থেকে বঙ্গভবনে গিয়েছি। আমি বঙ্গবন্ধুর ছোঁয়া পেয়েছি। কারাগারে যেতে হয়েছে। চরম অত্যাচারিত হয়েছি ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়েছে।’
মঙ্গলবার বিকেলে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে মাঠে নাগরিক সমাজের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গত ১৪ বছরের নানা অগ্রগতি ও পূর্বের অবস্থা মূল্যায়ন করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছেন, তারা মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধ্বংস করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক চেতনা আবার ফিরে এসেছে।
তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা তৈরি দেশের জন্য কখনও মঙ্গলজনক হয় না। রাজনৈতিক হিংসা ভুলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে সরকারকে রাজনৈতিকভাবে পরাস্ত করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। এটা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল। কিন্তু আমি শক্ত হাতে মোকাবিলা করেছি।
এই অনুষ্ঠানে আগামী সেপ্টেম্বরে পাবনা থেকে ঢাকা সরাসরি ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে ঘোষণা দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বেবী ইসলামের সভাপতিত্বে নাগরিক সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য রাখেন, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, নাগরিক কমিটির আহবায়ক অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লালসহ অনেকে।
এদিকে, সংবর্ধনায় রাষ্ট্রপতির কাছে পাবনা মেডিকেল কলেজকে হাসপাতালে রূপান্তর, পাবনা-ঢাকা সরাসরি ট্রেন চালু, সরকারি এডওয়ার্ড কলেজকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তর, ঈশ্বরদী সুগার মিল ও ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালুসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন বক্তারা।