সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর দখলের মহোৎসবে অস্তিত্ব সংকটে কবিগুরুর ছোটো নদী

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর দখলের মহোৎসবে অস্তিত্ব সংকটে কবিগুরুর ছোটো নদী

সেলিম রেজা, সিরাজগঞ্জ : সরকার যেখানে উদ্যোগ নিয়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করে দেশের বিভিন্ন নদ-নদী খনন করছে সারা বছর নদীতে পানি ধরে রাখতে। ঠিক তখনই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ছোট নদী’ খ্যাত খোনকারের জোলা একেবারে অস্তিত্বহীন করে দিতে দখলের মহোৎসবে মেতে উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

এদিকে কবিগুরুর নামে শাহজাদপুরে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছেন, এখানে কবিগুরুর নামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো, কবিগুরুর স্মৃতিকে অম্লান করে রাখা। সে জন্য রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত এই ছোট নদীটির জীবন্ত প্রবাহই কামনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

অপরদিকে শাহজাদপুরের গুণিজনরা বলছেন শাহজাদপুরে রবীন্দ্র আগমনের প্রধান মাধ্যমই ছিলো এই নদী। তাই এই নদীকে রুদ্ধ করার অর্থই হচ্ছে রবীন্দ্রনাথের আগমনকে বাঁধা দেওয়া এবং তার আসব যাব চিরদিনের সেই-আমি”-কে বাঁধাগ্রস্ত করা।

অথচ রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক এই নদীটিকে এমন ভাবে গিলে খাওয়া হয়েছে আর কয়দিন পর হয়তো কেউ জানবেইনা যে এইখানে একটি নদী ছিলো। মধুর সুরে কলকল করে বয়ে চলা এই নদীটার নাম ছিলো খোনকারের জোলা। রবীন্দ্র অনুসারীরা আবার আদর করে কবিগুরুর কবিতার সেই “ছোটনদী” বলেও ডাকতো। শাহজাদপুর পৌর শহরের ভিতর দিয়ে বয়ে চলা এই নদী ধরেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজের ভেলা নিয়ে প্রবেশ করতেন কাছারি বাড়িতে। এই জোলা দিয়ে চলতো আরও রংবেরঙের পাল তোলা বাহারি নৌকা। এসব এখন যেন শুধুই রূপকথা বা কোন কিংবদন্তী। সবকিছুই এখন কেবল ইতিহাস। ভূমিদস্যুদের দখলের কবলে পড়ে ছোট নদীর আর অস্তিত্ব নেই। কয়েক বছর আগে শাহজাদপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদীর কিছু অংশ উদ্ধার করা হলেও অদৃশ্য কারণে সেই উদ্ধার অভিযানও থেমে যায়। এরপর যতটুকু উদ্ধার হয়েছিল সেটুকুও নতুন করে দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ভূমিদস্যুরা।

ঐতিহ্য হারানো কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের ছোটনদী সংকুচিত ও শুকিয়ে মরে যাওয়ায় রোগাক্রান্ত কোন বৃদ্ধের রক্তনালীর মতই সরু হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও তো আবার দু’পাশ থেকে চাপিয়ে একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রবাহ। আর এই সুযোগেই দখলের মহোৎসবে মেতেছে প্রভাশালীরা।

ছোট নদীতে (খোনকারের জোলা) বর্তমানে আর পাল তোলা বাহারি নৌকা বা কবিগুরুর ‘সোনার তরী’ ভাসার উপায় নেই! এমনকি নদী ধরে পানি প্রবাহেরই আর সুযোগ নেই কোন। এদিকে গত বছরের ১৫ অক্টোবর শাহজাদপুরে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারি বাড়ি পরিদর্শনে এসে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এমপি ছোটনদীসহ শাহজাদপুরে কবিগুরুর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সকল স্মৃতি সংরক্ষণে যথাযথ উদ্যোগ নেয়ায় আশ্বাস দিয়েছিলেন। মন্ত্রীর দেওয়া সেই আশ্বাসে শাহজাদপুরবাসী নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন আবার। কেউ কেউ হয়তো হৃদয়ের গহীনে শুনতে পাচ্ছিলেন প্রাণবন্ত নদীর কুলকুল করে বয়ে চলার ধ্বনি, চোখের উপর ভাসতে দেখছিলেন পালতোলা বাহারি সব নৌকা। কিন্তু সে আশাও আস্তে আস্তে হতাশার কুয়াশায় ঢেকে যেতে শুরু করেছে। আশ্বাসের ১ বছর পেরিয়ে গেলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। প্রতিমন্ত্রীর দেয়া আশ্বাস ছোটনদী সংরক্ষণের উদ্যোগের বিষয়টি আশ্বাসেই থেকে যাওয়ায় রবীন্দ্রানুরাগী ও রবি ভক্তদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সচেতন মহলের দাবী, রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক-বাহক এই নদীটি উদ্ধার করে সংস্কার করা হলে পরিচ্ছন্ন ও সৌন্দর্য মণ্ডিত নগরী হিসেবে গড়ে উঠবে শাহজাদপুর।

জানা গেছে, প্রাচীনকাল থেকে প্রবাহিত করতোয়া ও বড়াল নদীর সঙ্গে সংযুক্ত এবং শাহজাদপুর শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ছোটনদী বা খোনকারের জোলাটি অবৈধ দখলমুক্ত করে পুনঃখননের উদ্যোগ নেয় সরকার। ‘আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে, বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে’- স্থানীয়ভাবে প্রচলিত রয়েছে বিশ্বকবি রবি ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শাহজাদপুরের কাছাড়িবাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া এই নদীকে নিয়েই কবি লিখেছিলেন এই কবিতাটি। অবৈধ দখল হওয়ার পূর্বে কবিতার সাথে হুবহু মিল ছিল এই খোনকারের জোলাটির। ৮০ এর দশকে তৎকালীন সামরিক সরকার খাল খননের ধুয়া তুললেও রবি ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত খোনকারের জোলাটি সেই সময়ে অধিক মূল্য দেখিয়ে ভূমি দখলের কু-মতলব নিয়ে ভরাট করে। এর আগে বর্ষাকালে ছোটনদীর ওপর দিয়ে নৌকা ভাসিয়ে আশপাশের গ্রাম থেকে নৌকাযোগে শাহজাদপুরে আসতেন অনেকেই। ১৮৯০ সাল থেকে ১৮৯৬ সাল পর্যন্ত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জমিদারী দেখাশোনার কাজে বিভিন্ন সময় কোলকাতা থেকে তার পদ্মাবোটে পদ্মা বড়ালের বুক বয়ে করতোয়ায় এসে নামতেন এই খোনকারের জোলার পূর্ব মুখে। সেখান থেকে পানসি নায়ে ঠাকুর আসতেন জমিদারির কাছারিবাড়িতে।

আবার অনেক সময় কবিগুরু কাছাড়িবাড়ি থেকে ছোটনদীর বুকে পানসি ভাসিয়ে রাউতারাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমন করতেন। কিন্তু, কালের আবর্তনে খোনকারের জোলাটি অবৈধ দখল হয়ে যাওয়ার পর থেকে এটি মূলত পয়ঃনিষ্কাশনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে। ইতিপূর্বে, মোহাম্মদ হাসিব সরকার শাহজাদপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে থাকাবস্থায় খোনকারের জোলাটির নির্দিষ্ট স্থান জরিপের মাধ্যমে ছোটনদীর সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করেন। তিনি খোনকারের জোলার ৩ কি:মি: এলাকা পরিদর্শন করে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে প্রসংশনীয় ভূমিকা রাখেন। কিন্তু তার বদলীর পর থেকে অদৃশ্য কারণে খোনকারের জোলা দখলমুক্ত করণের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে ছোটনদী পূণরুদ্ধারে কাউকেই কোন উদ্যোগ বা ভূমিকা রাখতে দেখা যায়নি।’

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিবেশী দেশ ভারত বাংলাদেশে আগত নদ-নদীগুলোর স্বাভাবিক গতিপথ রুদ্ধ করে দেওয়ায় সুজলা-সুফলা, শষ্য-শ্যামলা বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে মরু অঞ্চলে পরিণত হতে চলেছে যা এ অঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশকে করছে ভারসাম্যহীন। এসব কারণে এ অঞ্চলের নদ-নদীগুলোর গতি প্রকৃতির পরিবর্তন ঘটছে। আমরা হারাতে বসেছি আমাদের অনেক গ্রামীন ঐহিত্য। আবহমান কাল থেকে গ্রামীন জনপদের মানুষের প্রিয় সুস্বাদু দেশীয় মাছ এখন সোনার হরিণের মতো। এখন আর দেখা যায়না গ্রামীন ঐহিত্যের অনুসঙ্গ নৌকা বাইচ, খরা জাল, সূতি ফাঁদ, সেঁচের মাধ্যম দাঁড়। সুযোগ সন্ধানী ভূমিদস্যুরা নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ হারানোর সুযোগ নিয়ে মেতে উঠেছে দখল উৎসবে। প্রশাসনের রহস্যময় নিরবতায় নির্বিঘ্নে নতুন করে নদীর উপর বাড়িঘর নির্মাণ করে আস্তে আস্তে কবিগুরুর ছোট নদীকে গিলে খেতে শুরু করেছে ভূমিদস্যুরা।”

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শাহজাদপুর পৌর শহরের বুক চিড়ে আদিকাল থেকে বয়ে চলা খোনকারের জোলা দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনায় এখন মরা খাল। জোলার পূর্ব মুখ করতোয়া নদী থেকে শুরু হয়ে শহরের মাঝ বরাবর রবীন্দ্র কাচারি বাড়ি হয়ে বড়াল নদীতে গিয়ে মিলিত হয়েছে। এরমধ্যে পুকুরপাড় এলাকার করতোয়া নদী থেকে মণিরামপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার নদী কয়েকবছর আগে স্থানীয় প্রসাশন উদ্ধার করেন। এরপর থেকে দক্ষিণ পশ্চিম দিকে বড়াল অভিমুখী খোনকারের জোলার বাকী অংশটুকু বিভিন্ন সময়ে সুকৌশলে প্রভাবশালীরা পাকা স্থাপনা করায় উদ্ধার অভিযান দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় রূপ নেয়। পরবর্তীতে তৎকালীন এসিল্যন্ড হাসিব সরকারের বদলি হওয়ার পর উদ্ধার অভিযান একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে গত কয়েকদিন যাবৎ সরকারের উদ্ধার করা অংশের রামবাড়ি এবং মণিরামপুর মহল্লাকে মিলিত করে নদীর উপর যে সড়ক হয়েছে ঠিক তার পূর্ব পাশে জোলার পুরোভাগ জুড়ে মাটি ভরাট করে বাড়ি করার চেষ্টা করছেন শাহজাদপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোক্তার হোসেন।

বিষয়টি নিয়ে কথা হলে মোক্তার হোসেন জানান, আমি জায়গা কিনে নিয়েই বাড়ি বানাচ্ছি।’

এদিকে মোক্তার হোসেন নদীর যে অংশ ভরাট করেছেন ঠিক তার অদূরে পশ্চিম পাশে ছোবাহান গং ভরাট করে নতুন করে তুলছেন পাঁকা ঘর। তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।”

এভাবেই কখনো মোক্তার হোসেনের মত প্রভাবশালীরা আবার কখনো সোবহানদের মত মানুষেরা বিভিন্ন প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় একটু একটু করে দখল করতে করতে হাতের মুঠোর মধ্যে টেনে নিচ্ছে পুরো নদী। নদী রক্ষায় বিভিন্ন ভাবে শাহজাদপুরের সচেতন মহল থেকে দাবী করা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতার কারনেও সুযোগ সন্ধানীরা দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলেও অভিযোগ অনেকের।’

বিষয়টি নিয়ে কথা হলে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহ আজম এ প্রতিবেদককে বলেন, এই নদীটি আমাদের প্রকৃতির কারণে, আমাদের সংস্কৃতির যে বৈশিষ্ট্য রয়েছে সেটির কারণে এবং রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিকে আমাদের মাঝে চির অম্লান করে রাখার জন্য এই নদীটির জীবন্ত প্রবাহ প্রত্যাশা করি। সেইসাথে এই নদীর জীবন্ত প্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জোড় দাবি জানাচ্ছি।

কথা হয় শাহজাদপুরের আরেকজন রবীন্দ্র অনুরাগী রবীন্দ্র পাঠকেন্দ্র এর পরিচালক অধ্যাপক শাহ আলমের সাথে। তিনি জানান,শাহজাদপুরে রবীন্দ্রনাথের আগমনে আমরা ধন্য। আর রবীন্দ্রনাথের এই আগমন সড়কপথ, রেলপথ বা বিমানপথে ঘটেনি; ঘটেছে নৌপথে নৌকাযোগে। তার নৌকা বা বোট শাহজাদপুরে ঢুকেছে ‘ছোট নদী’ বা খোনকারের জোলা দিয়ে। শাহজাদপুরে রবীন্দ্র আগমনের প্রধান মাধ্যমই ছিলো এই নদী। তাই এই নদীকে রুদ্ধ করার অর্থই হচ্ছে রবীন্দ্রনাথের আগমনকে বাঁধা দেওয়া এবং তার “আসব যাব চিরদিনের সেই-আমি”-কে বাঁধাগ্রস্ত করা। এই নদীটি সচল হলে শাহজাদপুর শহর যেমন প্রাণ ফিরে পাবে তেমনি পর্যটকরাও রবীন্দ্রনাথকে বাস্তবে পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।’

এ বিষয়ে কথা হয় সংস্কৃতি কর্মী ও নাট্যব্যক্তিত্ব কাজী শওকতের সাথে। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘ খোনকারের জোলা শাহজাদপুর শহরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পানিপথ ছিলো। সেটা এখন নামে বেনামে অনেকেই দখল করে বসে আছে, যা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক। আমরা চাই সরকার এই নদীটি পূর্ণাঙ্গভাবে উদ্ধার করে আবারও পানি প্রবাহের পথ তৈরি করুক এবং এর দুই পাড় বেঁধে দিক। আমরা আরও চাই যে, দুইটি পাড়েই পরিকল্পিত ভাবে পায়ে হাঁটা পাঁকা রাস্তা নির্মাণ করে সরকার নিজ উদ্যোগে দুই পাড়েরই রাস্তার একপাশে মার্কেট নির্মাণ করে শহরের গরীব ব্যবসায়ীদের স্বল্প মূল্যে ভাড়া দিয়ে শাহজাদপুরে নতুন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করুক।

এ বিষয়ে কথা হলে খোনকারের জোলা সংলগ্ন বাসিন্দা ষাটোর্ধ বৃদ্ধ মোঃ খোকন সরকার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই নদী প্রাচীনকাল থেকেই এখান দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আসছে। পূর্বের সিএস, ডিস সব রেকোর্ডেই স্পষ্ট নদী উল্লেখ করা আছে। কিন্তু কালের বিবর্তনে এসব অঞ্চলে জায়গার মূল্য অত্যাধিক বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বার্থান্বেষি মহল আস্তে আস্তে নদীকে গিলতে শুরু করে। কেউ কেউ আরও একধাপ এগিয়ে গিয়ে প্রভাব খাটিয়ে সুকৌশলে আরএস রেকোর্ডের সময় নিজেদের নামে রেকোর্ডও করে নেয়। একটা আস্ত নদীকে রেকোর্ডে নিজের নাম ঢুকিয়ে দখলদাররা বলতে শুরু করছে এখানে কোন নদী ছিলো না।”

শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন এ প্রতিবেদককে জানান, খোনকারের জোলা সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় আমার নলেজেও আছে। শাহজাদপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি)-কে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিতে বলেছি। উনি পরিদর্শন শেষে জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

More News...

বিড়ি শিল্পের শুল্ক প্রত্যাহারসহ পাঁচ দাবিতে বগুড়ায় মানববন্ধন

কুষ্টিয়ায় নকল আকিজ বিড়িসহ বিড়ি তৈরির উপকরণ জব্দ