দীর্ঘ ৮ বছর পর যশোর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন ৭ জানুয়ারি

দীর্ঘ ৮ বছর পর যশোর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন ৭ জানুয়ারি

হাাফিজুর শেখ, যশোর : দীর্ঘ ৮ বছর পর যশোর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন ৭ জানুয়ারি,সকাল ৯- বিকাল ৪ ভোট অনুষ্ঠিত হবে। আট বছর পর নির্বাচনের পথে হাঁটছে যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। বুধবার (১৯ অক্টোবর) নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী ২০২৩ সালের ৭ জানুয়ারি কালেক্টরেট স্কুল প্রাঙ্গণে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ২১ পদে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে ২০১১ সালের ১৬ এপ্রিল চেম্বারটির সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ কমিটির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর গত ৮ বছর ধরে যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাচন বন্ধ রয়েছে।

নির্বাচন বোর্ড কমিটির আহ্বায়ক ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার কেএম আবু নওশাদ স্বাক্ষরিত তফসিল অনুযায়ী ৮ নভেম্বর সদস্যদের চাঁদা পরিশোধের শেষ তারিখ। ২৬ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হবে ২৭ নভেম্বর। চলবে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষে দিন ১৮ ডিসেম্বর।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ১৬ এপ্রিল চেম্বারের সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে জেলা বিএনপির তৎকালীন যুগ্ম-সম্পাদক মিজানুর রহমান খানের নেতৃত্বাধীন প্যানেল বিজয়ী হয়। ২০১২ সালের ৩ মার্চ মিজানুর রহমান খানের নেতৃত্বাধীন কমিটি দায়িত্ব বুঝে পান। ২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল পরবর্তী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী ওই বছরের ১২ জুলাই ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই নির্বাচন ভেস্তে যায়। ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর চেম্বারে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাবিনা ইয়াসমিন প্রশাসকের দায়িত্ব নেন। তিনি ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালনকালে দুই দফায় তফসিল ঘোষণা করলেও মামলার কারণে নির্বাচন হয়নি। ২০১৫ সালের ১৬ মে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল আরিফকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান করে তফসিল ঘোষণা করা হয়। এ নির্বাচনে ব্যবসায়ীদের একাংশ মামলা করেন। এতে ভোটের আগের দিন নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। পরে ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর আবারও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এটিএম গোলাম মাহবুবকে চেয়ারম্যান করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই নির্বাচনও হয়নি। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বদলি হওয়ায় ২০১৭ সালের জানুয়ারি প্রশাসকের দায়িত্ব নেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আসাদুল হক। তিনিও বদলি হয়ে গেছেন। এখন দায়িত্বে আছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান।এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পত্রে দীর্ঘ আট বছর পর যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাচনের জট খোলে। ওই পত্রে বর্তমান প্রশাসকের মেয়াদ আরও চারমাস বৃদ্ধি করা হয়। এ সময়ের মধ্যে নির্বাচন করার জন্য বলা হয়। ৩ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব তরফদার সোহেল রহমান স্বাক্ষরিত ওই পত্র পাঠানো হয়।পত্রে বলা হয়, যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের আবেদনের প্রেক্ষিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রশাসকের মেয়াদ পত্র জারির তারিখ (৩ অক্টোবর) হতে চার মাস শর্তসাপেক্ষে সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। পত্রে সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের শর্ত দিয়ে প্রশাসকের মেয়াদ বাড়ানোর কথা বলা হয়। বিধি অনুযায়ী ৯০ দিন পূর্বে পরিচালনা পর্ষদ তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন বোর্ড গঠন করবে। একইভাবে তিন সদস্য বিশিষ্ট হবে আপিল বোর্ড।যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান বলেন, তুচ্ছ কারণে দীর্ঘ ৮ বছর চেম্বারে কোনো নির্বাচন হয়নি। অবশেষে মন্ত্রণালয় নির্বাচন করার জন্য বলেছে। আমরা চাই চেম্বারে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট গ্রহণ ব্যবস্থা। যেখানে ভোটাররা তাদের পছন্দমতো প্রার্থী বেছে নিতে পারে।

More News...

বিড়ি শিল্পের শুল্ক প্রত্যাহারসহ পাঁচ দাবিতে বগুড়ায় মানববন্ধন

কুষ্টিয়ায় নকল আকিজ বিড়িসহ বিড়ি তৈরির উপকরণ জব্দ