সিরাজগঞ্জে বর্ষার মৌসুমে তীব্র মাছ সংকটে শুটকি উৎপাদন বন্ধের উপক্রম

সিরাজগঞ্জে বর্ষার মৌসুমে তীব্র মাছ সংকটে শুটকি উৎপাদন বন্ধের উপক্রম

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : মৎস্যভান্ডার খ্যাত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা, বিলে মিলছে না মাছের দেখা। বিশেষ করে চায়না জালে অবাধে চলছে মাছ শিকার। ফলে বর্ষার মৌসুমে তীব্র মাছ সংকটে শুটকি উৎপাদন বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে।

শুটকি ব্যবসায়ী দেলবার হোসেন আলী বলেন, শ্রাবণ মাসে বর্ষার শুরুতে ডিমওয়ালা মা-মাছ ও পোনামাছ চলনবিলে ঢুকে পড়ে। এ সময় চায়না জাল পেতে সব মাছ শিকার করে ফেলে জেলেরা।

তাছাড়া পুকুর খনন করায় বিলের আয়তন কমেছে। লোকজন হাট বাজারে ঘুরে চাহিদা অনুযায়ী খাওয়ার মাছ কিনতে পাচ্ছে না। শুটকির মাছ পাওয়া আরও দুষ্কর।

ব্যবসায়ী আলী আরও বলেন, বিগত ২০ বছরের মধ্যে আশঙ্কাজনকহারে বিলের মাছ কমেছে। শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে আমরা মাছের জন্য অপেক্ষায় আছি। প্রতিদিন ৬০ মণ কাঁচা মাছের প্রয়োজন শুটকির চাতালে, অথচ সর্বোচ্চ তিন মণ মাছ সংগ্রহ করতে পারছি, তাও আবার বেশি দামে মাছ কিনতে হচ্ছে।

গফুর, মোফাজ্জল, আলমাছ ও নান্নু মিয়া নামে আরও কয়েকজন শুটকি ব্যবসায়ী বলেন, চলন বিলের মিঠা পানির পুঁটি, খৈলসা, চাঁন্দা, মলা, ইচা, টেংড়া, গুচি, ক্যাকিলা, টাকি, শোল ও বোয়াল মাছের শুটকির কদর রয়েছে দেশজুড়ে। কিন্তু মাছের অভাবে আমরা শুটকি উৎপাদন করতে পারছি না। ১১ জন ব্যবসায়ীর মধ্যে দুইজনের চাতালে সামান্য করে শুটকি প্রস্তুত করা হচ্ছে।

উপজেলার মহিষলুটি এলাকায় সরেজমিনে শুটকির অধিকাংশ চাতাল বন্ধ পাওয়া যায়। দুইটি চাতালে সামান্য পুঁটি মাছ রোদে শুকানো হচ্ছে। অন্যগুলোতে সব চাটাই গোছানো।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মসগুল আজাদ বলেন, বর্ষার শুরু থেকে চায়না দুয়ারী জালের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। লোকবলের অভাবে একেবারে বন্ধ করা যাচ্ছে না। এ জন্য জেলেদের সচেতনতা আবশ্যক। এ বছর বিলের পানি নামার সময় শুটকির মাছ পাওয়া যেতে পারে।

More News...

বিড়ি শিল্পের শুল্ক প্রত্যাহারসহ পাঁচ দাবিতে বগুড়ায় মানববন্ধন

কুষ্টিয়ায় নকল আকিজ বিড়িসহ বিড়ি তৈরির উপকরণ জব্দ