পত্নীতলায় ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে লাইসেন্স বিহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার

পত্নীতলায় ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে লাইসেন্স বিহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার

পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর পত্নীতলায় চিকিৎসা সেবার নামে চলছে লাইসেন্স ছাড়াই ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের অবৈধ বানিজ্য। মানুষের জীবন -মরণ নিয়ে ব্যবসা করছেন এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। অসাধু ব্যবসায়ীদের এমন কর্মকান্ডে সচেতন সমাজ মহলে চলছে প্রতিবাদী গুঞ্জন।

পত্নীতলা উপজেলা ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পেীর এলাকার পপুলার ক্লিনিক, ফাতেমা ক্লিনিক, যমুনা ক্লিনিক, নজিপুর ডিজিটাল চক্ষু হসপিটাল, সরদার ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, গ্রামীণ ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, মাইক্রোল্যাব ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, সিটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, অত্র উপজেলার মধুইল এলাকার জাহানারা ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও পদ্মা ডায়াগনাষ্টক সেন্টারের লাইসেন্স নেই।
সরকারি অনুমোদন পাওয়ার আগেই ক্লিনিক এবং ডায়াগনষ্টিক সেন্টার তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। অনলাাইনে আবেদন করা হলেও এখনো তারা লাইসেন্স পাননি। সরকারি বিধি অনুযায়ী লাইসেন্স পাওয়ার একদিন আগেও স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার অধিকার নেই কোন ক্লিনিক বা ডায়াগনণ্টিক সেন্টারের। কিন্তু বছরের পর বছর স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনের উদাসীনতায় এ সকল প্রতিষ্ঠান খুঁলে তারা অবৈধভাবে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিটি ক্লিনিকে থাকবে দুইজন এম.বি.বি.এস ডাক্তার ও ছয় জন ডিপ্লোমা নার্স। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, অধিকাংশ ক্লিনিকের আবাসিক ডাক্তার হিসাবে অবসরপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাক্তার আলাউদ্দীন কর্মরত। অপরদিকে ছয় জন ডিপ্লোমা নার্সের জায়গায় সর্ব্বোচ্চ দুই জন নার্স পাওয়া যায়।

গতমাসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো; রাশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে তিনি চারটি ক্লিনিক পপুলার ক্লিনিক, ফাতেমা কিèনিক, যমুনা ক্লিনিক ও সরদার ক্লিনিক বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেন ও বাঁকি ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলোকে সতর্ক করে দেন এবং জরিমানা করেন। বন্ধ করার পরে ৪৮ ঘন্টা পার না হতেই সেই বন্ধ ক্লিনিকগুলোতে আবারো রমরমা ব্যবসা দেখা যায়।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ অনিচ্ছুকশর্ত্যে একাধিক ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক জানান, সবাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালিদ সাইফুল্লাহ্ রুমে ঢুকে বের হচ্ছে আর তাদের বন্ধ ক্লিনিকগুলো খুঁলে অবৈধ ব্যবসা চালাচ্ছে। তারা আরো জানান, ডা. খালিদ সাইফুল্লাহ একজন প্রশাসন কর্মকর্তা। তিনি কিভাবে মধুইলের জাহানারা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে নিয়মিতভাবে রোগী দেখেন। যেই জাহানারা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নেই। তার ইশারা ও ইঙ্গিতেই পত্নীতলায় লাইসেন্স বিহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলো চলছে। আমরা অবিলম্বে এর প্রতিকার চাই।

এলাকার সচেতন সমাজ বলেন, আমাদের পত্নীতলায় যে সকল ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার আছে এদের মধ্যে অধিকাংশের সেবার মান ভালো না। আর ভালো কিভাবে হবে যেখানে লাইসেন্সই নেই। আর লাইসেন্স বিহীন প্রতিষ্ঠান মানেই অবৈধ। সেখানে অনিয়ম থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এই লাইসেন্স বিহিন প্রতিষ্ঠানগুলো সরকার ও জনগণকে ফাঁকি দিচ্ছে। আমরা এলাকার সচেতন সমাজ হিসাবে লাইসেন্স বিহীন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

পত্নীতলা উপজেলা ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক মালিক সমিতির সভাপতি মো: মিজানুর রহমান ( মিজান ) বলেন, আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশের আইন মানতে আমরা বাদ্ধ। আমরা একাধিকবার তাদের লাইসেন্স করতে বলেছি। তারা আমাদের কথাকে গুরুত্ব না দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিনা লাইসেন্সে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে।

More News...

বিড়ি শিল্পের শুল্ক প্রত্যাহারসহ পাঁচ দাবিতে বগুড়ায় মানববন্ধন

কুষ্টিয়ায় নকল আকিজ বিড়িসহ বিড়ি তৈরির উপকরণ জব্দ