বুধবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতের নাম বিউটি আক্তার (৩৮)। তিনি ইউনিয়নের ছাবর আলী ব্যাপারী কান্দি (মূলপাড়া) গ্রামের আনিছ মাদবরের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৫ জানুয়ারি মোক্তারের চর ইউনিয়ন নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আনোয়ার হোসেন বাদশা শেখ। ওই গ্রামের নওয়াব আলী মাদবর বাদশা শেখের সমর্থক। তাই পরাজিত চশমা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহ আলম চৌকিদারের সমর্থক কাইফ ব্যাপারী ৭-৮ জন লোক নিয়ে দুপুরে নওয়াব আলী মাদবরের বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় কাইফ চিৎকার করে নওয়াব আলীর নাতি অনিক মাদবরকে বলেন, তোর কাছে ৫০ টাকা পাই তুই বাদশা শেখের দল করছস কেন? এ বলেই একে একে ছয়টি ঘর ভাঙচুর করেন। এসময় নওয়াব আলীর ছেলের বউ বিউটি আক্তারকে কুপিয়ে আহত করে নগদ ৪৭ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যান।
আহত বিউটি আক্তার বলেন, ‘বাদশা শেখের দল করেছি আমরা। তাই কাইফ (২০), মঞ্জু (১৮), রাতুলসহ (১৯) ৭-৮ জন অনিককে কিল-ঘুষি মেরে আহত করে।
নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাদশা শেখের ছেলে ইউনুস শেখ বলেন, ‘আমার বাবা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাই ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহ আলম চৌকিদারের সমর্থকরা নওয়াব আলীর বাড়িঘরে হামলা করে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহ আলম চৌকিদার বলেন, ‘এটি নির্বাচনী কোনো ঘটনা না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। পাওনা টাকার জন্য এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনি সংকর কর বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এখনও কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেননি। আসলে আমরা অভিযোগ নিব।’