চট্টগ্রাম টেস্টে কোথায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ!

চট্টগ্রাম টেস্টে কোথায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ!
স্পোর্টস ডেস্ক : ৪৯ রানে ৪ উইকেট, প্রথম দিন শেষে ওই ৪ উইকেটে ২৫৩। শুরুর ধাক্কা সামলে প্রথম দিনটি শেষ পর্যন্ত নিজেদের করে নিয়েছিলেন লিটন দাস আর মুশফিকুর রহিম।

শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে তাদের দুজনার হাত ধরে আড়াইশো পার করা দেখে সবার ধারণা ছিল বাংলাদেশের স্কোর বুঝি ৪০০’তে গিয়ে ঠেকবে; কিন্তু তা আর হয়নি। প্রথম দিন ১১৩ রানে নট আউট থাকা লিটন দাস দ্বিতীয় দিন সকালে মাত্র ১ রান যোগ করেই ফিরে গেছেন সাজঘরে।

৮২ রানে ব্যাট করা মুশফিকও শতরান করতে পারেননি। আর মাত্র ৯ রান যোগ করেই আউট হয়ে গেছেন। যাদের ওপর ভরসা করে দল আগাচ্ছিল, তারা দু’জন অল্প সময়ের ব্যবধানে ফিরে গেলে মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের স্কোর ৩০০‘ও হবে না।

তবে আট নম্বরে নামা মেহেদি হাসান মিরাজের হার নামা ৩৮ রানের ইনিংসে মুমিনুলের দল ৩৩০-এর ঘরে গিয়ে পৌঁছায়। জবাবে দিন শেষে পাকিস্তানের স্কোর বিনা উইকেটে ১৪৫। আবিদ আলী ৯৩ আর শফিক ৫২ রানে উইকেটে রয়েছেন বহাল তবিয়তে।

পাকিস্তানীদের হাতে যদিও ১০ উইকেটই আছে, তারপরও বাংলাদেশ এখনো ১৮৫ রানে এগিয়ে। এ অবস্থায় ম্যাচে কোথায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন ভক্তরা।

সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস মনে করেন, পাকিস্তান তুলনামূলক ভালো অবস্থায় আছে। কারণ তারা কোনো উইকেট হারায়নি। লিটন বলেন, ‘স্কোর বোর্ডে যদি ২/৩ উইকেট থাকতো এবং ১৪৫-এর বদলে যদি ৩ উইকেটে ১৬০ রানও করতো পাকিস্তানীরা, তাহলেও দেখে ভাল লাগতো। তাহলে মনে হতো দুই দিকেই খেলা থাকত।’

লিটন দাসের কথা শুনে মনে হয়েছে, টিম বাংলাদেশ চাচ্ছে কাল রোববার তৃতীয় দিন সকালে পাকিস্তানের গোটা তিনেক উইকেটের পতন ঘটাতে। লিটনের কথা, ‘আমার মনে হয় আমরা যদি কাল আর্লি মর্নিং এ ২-৩ টা উইকেট নিতে পারি তাহলে সিমিলার জায়গায় চলে আসবে।’

আজকের দিনের খেলার পর্যালোচনা করতে গিয়ে লিটন বোঝানোর চেষ্টা করেন, টেস্ট ক্রিকেট হলো উত্থান-পতনের খেলা। আজ যেটা হবে, কাল সেটা হবে না। এ ম্যাচেও অনেকটাই তাই।

তিনি বলেন, ‘দেখেন প্রথম দিন যেটা ছিল, আমাদের মধ্যাহ্ন বিরতির আগে যখন ৪ উইকেট পড়ে যায় হয়তো সবাই ধারণা করছিল বাংলাদেশ অল্পতে অলআউট হয়ে যাবে। ওখান থেকে আমি আর মুশফিক ভাই অনেক ভালো জুটি গড়ে কামব্যাক করেছিলাম। আমরা যখন দিন শেষ করেছি, আমাদের ইচ্ছা ছিল একটা ভালো সংগ্রহের দিকে নিয়ে যাব কাল; কিন্তু এটাই ক্রিকেট। যেটা আগের দিন হয় সেটা পরেরদিন হয় না।’

এখনই ফলের কথা চিন্তা করতে নারাজ বাংলাদেশ। লিটনের অনুভব, এ উইকেটে খুব দ্রুত রান করা কঠিন। যে কারণে পাকিস্তানিদের রান তোলার গতি ছিল মন্থর। এখন তৃতীয় দিন শিশির ভেজা উইকেটে পাকিস্তানের কয়েকটি উইকেট নিতে পারলে দু’দল সমান্তরালে চলে আসবে।

লিটন যোগ করেন, ‘এখন ফলের দিকে চিন্তা করা যাচ্ছে না। আগেও বললাম আমি ও মুশফিক ভাই যদি আরেকটু ভালো ব্যাটিং করতাম তাহলে ৪০০-৪৫০ রান থাকত। তাহলে দৃশ্যপট থাকতো ভিন্ন। আবার বোলিংয়ে ২-৩ উইকেট নিতে পারতাম তাহলে শেষের দৃশ্যটাও ভিন্ন হতে পারত। তবে এখনও খেলা দুই পক্ষেই আছে। কালকের দিনের উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে।’

More News...

সল্টের ‘কালবৈশাখী ঝড়ে’ নববর্ষ বরণ কলকাতার

নেইমার পেলেন বড় সুখবর