ওপেনিংয়ে সাদমানের সঙ্গী কে?

ওপেনিংয়ে সাদমানের সঙ্গী কে?

ক্রীড়া প্রতিবেদক : প্রথমবারের মতো টেস্ট দলে ডাক পেয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট কিংবা ঘরোয়া সব জায়গায় নিজেকে প্রমাণ করে এখন জাতীয় দলের দুয়ারে রয়েছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী এই ক্রিকেটার। সম্ভাবনাময়ী এই তরুণ ব্যাটারকে নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটেরও আগ্রহের কমতি নেই। কেননা ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবেন যারা তাদেরই একজন চাঁদপুরের এই ক্রিকেটার।

টেস্ট দলে ডাক পাওয়ার পর থেকেই এই ক্রিকেটারকে ঘিরে আলাদা পরিকল্পনা সাজিয়েছেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ অ্যাশলে প্রিন্স। পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের আগে ‍দুই দল দিন ধরে আলাদা আলাদা নেটে এই ব্যাটারকে নিয়ে কাজ করেছেন এই প্রোটিয়া কোচ। গতকাল বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ দল যখন স্টেডিয়ামের দক্ষিণ পাশের নেটে অনুশীলনে ব্যস্ত, ঠিক তখনই উত্তর পাশের নেটে অনুশীলন করতে দেখা যায় জয়কে। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যাটিং কোচ প্রিন্সও।

ম্যাচের আগেরদিন, অর্থ্যাৎ আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অ্যাশলে প্রিন্সকে নিয়ে একই নেটে অনুশীলন করতে দেখা যায় এই ব্যাটারকে। তার সঙ্গে ওই নেটে ছিলেন আরেক ওপেনার সাইফ হাসান। যদিও সাইফের চেয়ে বেশি সময় ধরে অনুশীলন করেছেন জয়। একই সঙ্গে তার দুর্বলতাগুলোকে বের করে তা নিয়ে কোচের সঙ্গে রিকভারির জন্য কাজ করতে দেখা গিয়েছে জয়কে।

সকাল ১০টা থেকে প্রিন্স নিজেই আর্ম থ্রোয়ার দিয়ে গ্রানাইটের স্লাবে বল ছুঁড়ে শর্ট অব লেংথ ও শর্ট বল অনুশীলন করান জয়কে। ওপেনিংয়ে পাকিস্তানি পেসারদের সামনে যেন চ্যালেঞ্জ সামলাতে পারেন তিনি। দীর্ঘক্ষণ চলতে থাকা এই অনুশীলনের পর দলের সঙ্গে মাঠে ছাড়েন তিনি।

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের এক পাশে ওপেনার তামিম ইকবাল ও অন্যপাশে সাদমান ইসলাম কিংবা সাইফ হাসানকে দেখা যেত। তবে তামিমের ইনজুরির কারণে ওপেনিংয়ে সাইফকে দেখা গিয়েছে আগের সিরিজগুলোতে। পাঁচ টেস্ট খেলা সাইফের পারফরম্যান্স এখন প্রশ্নবিদ্ধ। এদিকে পাকিস্তান সিরিজেও ইনজুরির কারণে নেই তামিম। তাইতো ওপেনিংয়ে সাদমানের যোগ্য সঙ্গী হিসেবে সাইফ নাকি জয়কে নিবে, তা নিয়ে কিছুটা চিন্তায় ফেলতে পারে টিম ম্যানেজমেন্টকে। ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনে খেললেও জাতীয় দলে জয়কে ওপেনার হিসেবেই খেলানোর কথা জানিয়েছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক।

পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের। আগের আসরে শূন্য হাতে শেষ করা টাইগারদের সামনে এবার বড় চ্যালেঞ্জ। শুরুতে ভালো করতে না পারলে ভবিষ্যত আরও কঠিন হয়ে যেতে পারে। দলে বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটাররা না থাকায় জয়ের জন্য সুযোগ হতে পারে এই সিরিজ। অবশ্য টাইগার অধিনায়ক ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেছেন, ‘জয়কে ব্যাকাপ ওপেনার হিসেবেই নেওয়া হয়েছে। সে খেললে ওপেনার হিসেবেই খেলবে।’

প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে নজরকাড়া পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন জয়। আট ম্যাচে ১৪ ইনিংস ব্যাট করে ৪১ গড়ে ৫৭৪ রান করেছেন তিনি। তার এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান ১২১। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে দুটি করে অর্ধশতক ও সেঞ্চুরিও রয়েছে তার। একই সঙ্গে এই ১৪ ইনিংসে ৫১টি বাউন্ডারি ও ছয়টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন উদীয়মান এই ক্রিকেটার।

বাংলাদেশ টেস্ট স্কোয়াড

মুমিনুল হক (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, এবাদত হোসেন চৌধুরি, আবু জায়েদ রাহী, ইয়াসির আলি রাব্বি, মাহমুদুল হাসান জয়, রেজাউর রহমান রাজা, সাকিব আল হাসান (নেই ১ম টেস্টে)।

More News...

সল্টের ‘কালবৈশাখী ঝড়ে’ নববর্ষ বরণ কলকাতার

নেইমার পেলেন বড় সুখবর