বিয়ে করে কোন অপরাধ করিনি: শাহীন চেয়ারম্যান

বিয়ে করে কোন অপরাধ করিনি: শাহীন চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক : পটুয়াখালীর বাউফলের কনকদিয়ার চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার বলেছেন ‘বিয়ে করে কোনো অপরাধ করিনি। আর যখন আমার স্ত্রী আমার সঙ্গে সংসার করতে চায়নি তখন তাকে দেশের প্রচলিত আইন ও ইসলামি শরিয়া অনুযায়ী তালাক দিয়েছি। এটাও কোনো অপরাধ নয়। অথচ একটি মহল আমাকে হেয় করার আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

বুধবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ক্র্যাব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি সালিশি বৈঠকে কিশোরী বিয়ে করার অভিযোগ ওঠে শাহীন হাওলাদারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

গ্রামবাসী ও পারিবারিক সূত্র জানায়, গত মে মাসে ওই কিশোরীর সঙ্গে নাজিরপুর ইউনিয়নের তাঁতেরকাঠি গ্রামের গার্মেন্টসকর্মী সোহেলের বিয়ে হয়। তবে, গৃহশিক্ষক রমজানের প্রেমের সম্পর্ক থাকায় ওই বিয়েতে রাজি ছিলেন না কিশোরী। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন সোহেল, কিশোরী ও রমজানের পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে।

গত শুক্রবার কনকদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে মীমাংসার জন্য যান উভয় পরিবারের সদস্যরা। সেখানে চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় সোহেল ও কিশোরীর বিয়ে বিচ্ছেদ হয়।

সালিস বৈঠকে ওই কিশোরী প্রেমিক রমজানের সাথে সংসার করতে চায়। কিন্তু চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার নিজেই কিশোরীকে পছন্দ হয় এবং বিয়ে করেন।

শাহীন চেয়ারম্যান বলেন, বিয়ের পর আমি জানতে পারি পাশা গ্রামের রমজান নামের একটি ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এবং এ বিয়ের কথা শুনে রমজান ঘুমের ওষুধ খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এতে আমি বিব্রত হয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সে স্বীকার করে। পরে এ বিষয়ে করণীয় কি জানতে চাইলে সে প্রেমিকের কাছে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে এবং আমাকে তালাক দিতে সম্মত হয়। পরে ২৫ জুন আমাকে তালাক দিয়ে সে তার প্রেমিকের কাছে চলে যায়। যাওয়ার সময় তার চাচা, দাদা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

চেয়ারম্যানের দাবি তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। একটি মহল তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

More News...

১৭৩ জন বাংলাদেশী মিয়ানমার কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন

বিড়ির শুল্ক প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে পাবনায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান