লাকসামে আগুনে পুড়লো ব্যবসায়ীদের ৩ কোটি টাকার মালামাল

লাকসামে আগুনে পুড়লো ব্যবসায়ীদের ৩ কোটি টাকার মালামাল

মশিউর রহমান সেলিম, লাকসাম : কুমিল্লা দক্ষিনাঞ্চলের বানিজ্যিক নগরীখ্যাত লাকসাম পৌরশহরের দৌলতগঞ্জ বাজারের নোয়াখালী রেলগেইট সংলগ্ন এলাকায় রবিবার রাত ১.৪৫ মিনিটে দিকে আকষ্মিক অগ্নিকান্ডে পুড়ে গেলো লাকসাম মিনি সুপার মার্কেট ব্যবসায়ীদের প্রায় ৩ কোটি টাকার মালামাল এবং ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দোকান ও গুদাম ঘর। অগ্নিকান্ডের কারন এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, রবিবার রাত ১.৪৫ মিনিটের দিকে আকস্মিক ভাবে লাকসাম পৌরশহরের প্রানকেন্দ্র দৌলতগঞ্জ বাজারের নোয়াখালী রেলগেইট সংলগ্ন এলাকার লাকসাম মিনি সুপার মার্কেটের বনফুল কনফেকশনারী, গুদাম ও কিচেন, অগ্রনী হার্ডওয়ার ও মেশিনারীজ, বিছমিল্লাহ কম্পিউটার, মা ফার্মেসী, মদিনা ইলেকট্রিক, এস.আর ইলেকট্রিক ও গুদামঘর আগুনে পুড়ে চোখের পলকেই লন্ডভন্ড হয়ে যায়। খবর পেয়ে লাকসাম থানা পুলিশ ও দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং তাৎক্ষনিক কুমিল্লা ইপিজেড ও চৌদ্দগ্রাম দমকল বাহিনীসহ ৫টি ইউনিট প্রায় দুই ঘন্টা যাবত ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের সাথে যুদ্ধ করে স্থানীয় লোকজনের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। অপরদিকে এ অগ্নিকান্ডের আতংকে পাশ^বর্তী খাতুন মার্কেট ও খাতুন মেগা সিটি সুপার মার্কেটের প্রায় অর্ধাশতাধিক দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
সূত্রগুলো আরও জানায়, অগ্নিকান্ডের শুরুতেই তার প্রভাব ছিলো দানবের মতো। চোখের পলকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে একের পর এক ওই মার্কেটের দোকানগুলোতে। স্থানীয় লোকজনের আত্মচিৎকার এবং টহলরত পুলিশের বাঁশির আওয়াজে সমগ্র পৌরশহর কাঁপিয়ে উঠে। খবর পেয়ে লাকসাম পৌর মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের, লাকসাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়াসহ সার্বজনিন লোকজনের সার্বিক তদারকিতে দানব আগুন বেশীদূর ছড়াতে না পারলেও ওই মার্কেটের ব্যবসায়ীদের ক্ষয়ক্ষতিতে অগ্নির দাবানল দমাতে পারেনি। দীর্ঘ দুই ঘন্টা ওই অগ্নিদানব মূহূর্তের মধ্যে ওই মার্কেটের সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভস্মিভুত হয়ে বিরান ভূমিতে পরিনত করে তোলে। অপরদিকে এ মহা দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাড়ানো জন্য সকল ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের একাধিক সূত্র জানায়, এ অগ্নিকান্ডের কারন জানা না গেলেও ওই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অগ্নিদাবানলের তীব্রতা ছিলো ভয়াবহ বিধায় মূহর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ওইসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। ফলে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গেছে এ মহা দানব অগ্নিকান্ড। এলাকার আশেপাশে পানি সংকটের কারনে আগুন নিয়ন্ত্রন আনতে দমকল বাহিনীর কর্মীরা অনেকটাই হিমশিম খেতে হয়েছে। তবে এলাকার পুকুর, ডোবা, জলাশয় ভরাট এবং নদী-খাল জবরদখলের কারনে পানি সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে লাকসাম দমকল বাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করি এবং চৌদ্দগ্রাম ও কুমিল্লা ইপিজেড দমকল বাহিনী এবং লাকসাম থানা পুলিশ, পৌরপ্রশাসন সহ এলাকার সার্বজনিন লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রন আনতে সহযোগিতা করে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখনো নিরুপন করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে লাকসাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া জানায়, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ওই এলাকায় দমকল বাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের সাথে আগুন নিয়ন্ত্রনসহ এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করি।

More News...

১৭৩ জন বাংলাদেশী মিয়ানমার কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন

বিড়ির শুল্ক প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে পাবনায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান