রাত ৪:৫৯, ৭ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
নোয়াখালী প্রতিনিধি
ফেসবুকে ‘শিবিরকে কোপানো জায়েজ’ লিখে স্ট্যাটাস দেওয়ায় নোয়াখালীতে সোহাগ গাজী নামে এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছে স্থানীয় ছাত্রশিবির।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালী শহর শাখা শিবিরের আইন বিষয়ক সম্পাদক আবদুল কাউয়ুম বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় অভিযোগ দেন।
মামলায় অভিযুক্ত সোহাগ গাজী সদর উপজেলা আন্ডারচর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও ওই ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের জালাল আহমদের ছেলে। এছাড়া সোহাগ গাজীর স্ট্যাটাস শেয়ার করায় একই এলাকার ইউসুফ মাঝির ছেলে আরিয়ান হোসেন বাবলুকেও আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রদল নেতা সোহাগ গাজী তার নিজের ফেসবুক আইডিতে ‘শিবির কোপানো জায়েজ ছিল, আছে, থাকবে- ইনশাআল্লাহ’ লিখে স্ট্যাটাস দেন, যা বাবলুসহ অনেকে শেয়ার দেন। এতে দেশের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির আশঙ্কা থাকায় আসামিদের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করা হয়।
অভিযোগের বাদী বলেন, আমরা মনে করি ছাত্রদল নেতা সোহাগ গাজী রাজনৈতিক বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। তিনি উসকানি দিয়ে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের হত্যা করার ষড়যন্ত্র করছেন। আমরা এ বিষয়ে আইনি প্রতীকার চেয়ে সংগঠনের সিদ্ধান্ত মতে সুধারাম মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ সময় প্রেস ব্রিফিংয়ে শিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও নোয়াখালী শহর শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমান বলেন, আমরা ছাত্রদলের সঙ্গে দীর্ঘ ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজপথে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন করেছি। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ছাত্রদলের তৃণমূলের কিছু নেতাকর্মীর মনে নতুন করে ফ্যাসিবাদের জন্ম নিচ্ছে। আমরা এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। পাশাপাশি এ ধরনের অতি উৎসাহী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে আহ্বান জানাই।
নোয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান মো. নোমান জাগো নিউজকে বলেন, সোহাগ গাজী এক সময় আন্ডারচর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি এখন বিদেশে অবস্থান করছেন। তার স্থলে একজনকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সুধরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ফেসবুকে উসকানিমূলক স্ট্যাটাস দেওয়ার একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।