ভোর ৫:৪৪, ৫ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
ক্রীড়া প্রতিবেদক
চলতি বছরের বিপিএল শেষেই জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন আলিস আল ইসলাম। তবে আঙুলের ইনজুরির কারণে সেবার লাল-সবুজের জার্সিতে খেলা হয়নি। চলমান এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে আলিস খেলছেন ঢাকা মেট্রোতে। তাদের হয়েই আজ (শনিবার) খুলনা বিভাগের বিপক্ষে করেছেন ম্যাচজয়ী এক স্পেল।
বল হাতে এদিন ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ মিঠুন ও আজিজুল হাকিম তামিমকে ফেরান আলিস। ৪ ওভার বল করে ২৪ রান খরচায় তুলে নেন ৩ উইকেট। যা ঢাকা মেট্রোর গুরুত্বপূর্ণ জয়েও ভূমিকা রেখেছে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আলিস জানিয়েছেন, তিন উইকেটের মধ্যে সবচেয়ে বিশেষ ছিল ইমরুল কায়েসের উইকেটটি।
আলিস বলেন, ‘ব্যাটিং উইকেটই ছিল এতক্ষণ (উইকেট পাওয়ার আগপর্যন্ত) যাবৎ। কারণ ব্যাটসম্যানরা রান পাচ্ছিল। আমার উইকেটের মধ্যে সবচেয়ে স্পেশাল উইকেট ছিল ইমরুল ভাইয়েরটা। কারণ পাওয়ার প্লেতে যদি ইমরুল ভাই ভালো খেলত তাহলে ম্যাচটা আমাদের কাছ থেকে দূরে সরে যেত।’
ম্যাচে যে পরিকল্পনায় বল করেন আলিস, ‘ইমরুল ভাইকে ক্যারম বলে আউট করেছি। মিঠুন ভাইকেও একই বলে আউট করেছি। (আজিজুল হাকিম) তামিমের সময় অফস্পিন করেছি। এই কনফিউশনটা থাকেই কখন কোন বল করব। কিংবা ব্যাটসম্যান কোনটা চাচ্ছে। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী এটা নির্ধারণ হয়। অথবা ফিল্ডার কোথায় আছে, ব্যাটসম্যানকে কোথায় খেলাতে চাচ্ছি ওই অনুযায়ী বল করি।’
প্রসঙ্গত, আগে ব্যাট করে ঢাকা মেট্রো ইমরানুজ্জামানের ৪৬, শামসুর রহমান শুভ ২৬, নাঈম শেখ ২৫ ও আনিসুল ইসলামের ২২ রানে ভর করে ১৪৬ রান সংগ্রহ করে। খুলনা বিভাগের হয়ে মেহেদি হাসান রানা সর্বোচ্চ ৩টি এবং আল-আমিন ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ২টি করে উইকেট নেন। পরে লক্ষ্য তাড়ায় খুলনা শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ওভারে ১৪০ রান তুলতে সক্ষম হয়। তাদের পক্ষে সর্বোচ্চ আজিজুল হাকিম তামিম ২৯ রান করেন। এ ছাড়া বলার মতো কেউ রান না পাওয়ায় ৬ রানে হেরে যায় খুলনা।