রাত ১:৩৭, ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বন্ধের খবরে ব্যাংকগুলোতে উপচেপড়া ভিড়

আগামীকাল বুধবার থেকে এক সপ্তাহ লকডাউনের ঘোষণা করেছে সরকার। শুধুমাত্র শিল্প কলকারখানা ও জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান ঘোষণা করেছে সরকার। এবারের লকডাউনের আওতায় পড়েছে আর্থিক খাত। তাই আজ মঙ্গলবার লকডাউনের আগের কার্যদিবসে ব্যাংক পাড়ায় গ্রাহকের উপছে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা ও পল্টন এলাকায় সোনালী, রুপালী, অগ্রণী, ইসলামী, ব্র্যাক, ডাচ্ বাংলা, আল-আরাফা, আইএফআইসি, পূবালী, এবি, ন্যাশনাল, সিটি ব্যাংকসহ প্রায় ২৫ টি ব্যাংকের শাখা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

মঙ্গরবার সকাল ১০ টা থেকে সরকারি-বেসরকারি সব ব্যাংকেই অন্যদিনগুলোর তুলনায় গ্রাহকের উপস্থিতি চোখে পড়ার মত। লেনদেনের সময় যত কমিয়ে আসছে তত উপস্থিতি বাড়ছে। সব ব্যাংকের গেটের বাইরেই লম্বা লাইনে গ্রাহক দাঁড়িয়ে আছে।

হাসানুজ্জামান নামে ইসলামী ব্যাংকের লোকাল শাখার এক গ্রাহক জানান, আগামীকাল থেকে ব্যাংক ব্যাংক বন্ধ। কিন্তু শুনেছি লকডাউন আরো বাড়তে পারে তাই হাতে টাকা রাখার জন্য টাকা উঠাতে আসলাম।

আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকের এক গ্রাহক রাকিবুল জানান, ইউটিলিটি বিল জমা দেয়ার জন্য এসেছি। সকাল সাড়ে দশটায় এসেছি। এখন ১১ টা ৮ বাজে কিন্তু এখনো এখনো লাইনে আছি কাউন্টারে পৌাঁছাতে পারেনি।

দেখা গেছে, সিটি ব্যাংকেও দীর্ঘ লাইন। সব কাউন্টারে কর্মকর্তারা যেন দশ হাতে কাজ করছে। তবুও গ্রাহক কমছে না। সিটি ব্যাংকের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, লেনদেন শূরু হয়েছে দেড় ঘন্টা হলো। কিন্তু একটুও হাত খালি নেই। একের পর এক গ্রাহক। পানি খাওয়ারও সময় পাচ্ছি না। একটু সহকর্মীদের সাথে কথা বলতে গেলে গ্রাহক উত্তেচিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি আগে দেখিনি।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যত গ্রাহক পেয়েছি। তারমধ্যে জমার চেয়ে উত্তোলনের হার বেশি।

ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের গ্রাহক গৌতম সাহা জানান, ব্যাংকের বাইরে দীর্ঘ ৪৫ মিনিট লাইনে দাঁড়ানোর পর ব্যাংকের ভিতরে এসে বসার সুযােগ পেয়েছি। তবে এখনো কাউন্টারে যেতে পারিনি। ব্র্যাক ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, এত ভিড় ঈদের আগেও দেখিনি।