প্রতিবেশী দেশের নীল নকশায় চলছে আওয়ামীতন্ত্র : ১২ দলীয় জোট

প্রতিবেশী দেশের নীল নকশায় চলছে আওয়ামীতন্ত্র : ১২ দলীয় জোট

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির সমমনা ১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেছেন, প্রতিবেশী দেশের নীল নকশায় এখন চলছে আওয়ামীতন্ত্র। ওই দেশের ইন্ধনে আওয়ামী লীগ আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। দেশের সাধারণ মানুষের পকেট কেটে সরকারি দলের লোকজন রাশিয়ার অলিগার্কদের মতো বিত্ত-বৈভবের মালিক হচ্ছেন। তাদের লুটেরা সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্য লাগামহীন বাড়ছে। আর সাধারণ মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে।

রোববার বিকেলে রাজধানীর মালিবাগে মৌচাক, আনারকলি মার্কেট ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন ও আগ্রাসন প্রতিরোধে রুখে দাঁড়ান’ শীর্ষক লিফলেট বিতরণকালে জোটের শীর্ষ নেতারা এসব কথা বলেন। এসময় তারা মার্কেটের দোকানদার, পথচারী ও সাধারণ মানুষের হাতে লিফলেট তুলে দেন।

লিফলেটে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার গায়ের জোরে ভোট চুরির মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করে আসছে। তারা লুটপাট করতেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বাড়িয়েছে। এই সিন্ডিকেট সরকারকে ‘না’ বলুন। একইসঙ্গে সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা, বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন বিষয়ে হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানানো হয়।

জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ভারত প্রকাশ্যে এ দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে আর এই সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন- ২০১৪-১৮ এবং ২৪ সালে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় ভারত তাদের পাশে ছিল এবং গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছে। আওয়ামী লীগের কিছু হালুয়া রুটি ও উচ্ছিষ্ট ভোগকারী ছাড়া দেশের সকল গণতন্ত্রকামী মানুষ আজ ভারতের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। ভারত ও এই সরকার ভয় দেখিয়ে এ দেশের জনগণকে দাবিয়ে রাখতে চাচ্ছে। ভয় দেখিয়ে দাবিয়ে রাখা যাবে না তাদেরকে চরম মূল্য দিতে হবে।

জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস ও দেশের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতীয় হস্তক্ষেপ বন্ধে এ দেশের ৫৬ হাজার বর্গ কিলোমিটারে ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে। আশা করি ভারতের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং তারা এ দেশের জনগণের অধিকার আদায়ে বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে তাদের যথাযথ ভূমিকা পালন করবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান হান্নান আহমেদ বাবলু, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটু , জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান প্রমুখ।

More News...

কোন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল?

সোনার দাম আবার বাড়লো, ভরি ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা