জাপানের কাছে সাবিনাদের হার ৮-০ গোলে

জাপানের কাছে সাবিনাদের হার ৮-০ গোলে

ক্রীড়া প্রতিবেদক : জাপানের কাছে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশের মেয়েরা : বাফুফে
এই ম্যাচ নিয়ে রোমাঞ্চিত ছিলেন সাবিনা খাতুনরা। তাঁরা বলেছিলেন, জাপানের মতো নারী ফুটবলে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে খেলা বিরাট এক অভিজ্ঞতা। কোচ সাইফুল বারী ম্যাচের আগের দিন গতকাল বলেছিলেন, যতটা সম্ভব ম্যাচটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে চান। ফল যা হওয়ার হবে, তা নিয়ে তিনি ভাবছেন না। মেয়েদের বলেছেন সেরাটা দিতে।সাবিনারা সেটা দিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা সেরাটা দিলেই তো আর জাপানের মতো দলকে আটকে রাখা সম্ভব নয়। সেটা আজ বাস্তবেও দেখা গেছে। হাংজু থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে ওয়েংজু অলিম্পিক স্পোর্টস স্টেডিয়ামে জাপানের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে বাংলাদেশের জালে বল গেছে চারবার। ৭, ৮, ২৯ ও ৪৫ মিনিটে ওই চার গোল। দ্বিতীয়ার্ধে হয়েছে আরও চার গোল—৪৭, ৫৬, ৭৭ ও ৮২ মিনিটে। সব মিলিয়ে নারী ফুটবলে ২০১১ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া জাপানের কাছে বাংলাদেশ হেরেছে ৮–০ গোলে। আর এই বড় হার দিয়েই এশিয়ান গেমসে নারী ফুটবলে অভিষেক হলো বাংলাদেশের।জাপান ম্যাচটা খেলেছে একতরফা। জোড়া গোল করেছেন জাপানের মোয়েকো তানিগাওয়া, রেমিনা চিবা, কোতোনো সাকাকিহারা। একটি করে গোল করেছেন ইউশু শিওইয়োয়ে, মায়া হিজিকাতা।
জাপানের পোস্টে বাংলাদেশ কোনো শটই নিতে পারেনি। সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকতে হয়েছে নিজেদের রক্ষণ সামলানো নিয়েই। বাংলাদেশ তিনজন খেলোয়াড় বদল করেছে ম্যাচে। সানজিদার জায়গায় শামসুন্নাহার, সাবিনার জায়গায় স্বপ্না রানী ও তহুরার জায়গায় মাতসুশিমা সুমাইয়া। কিন্তু কোনো কিছুতেই প্রতিরোধ গড়া যায়নি জাপানি মেয়েদের সামনে।
তবে জাপানের কাছে বাংলাদেশের হারটিই সবচেয়ে বড় নয়। একই দিনে মঙ্গোলিয়াকে ১৬–০ গোলে হারিয়েছে চীন। এশিয়াডে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের দ্বিতীয় ম্যাচ ভিয়েতনামের বিপক্ষে, ২৫ সেপ্টেম্বর।

More News...

সল্টের ‘কালবৈশাখী ঝড়ে’ নববর্ষ বরণ কলকাতার

নেইমার পেলেন বড় সুখবর