মেয়াদ বাড়লো পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট উন্নয়ন কাজের

মেয়াদ বাড়লো পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট উন্নয়ন কাজের

নিজস্ব প্রতিবেদক : নানা কারণে দুই বছর মেয়াদ বাড়লো পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট উন্নয়ন কাজের। ‘পাটুরিয়া এবং দৌলতদিয়ায় আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ নদী বন্দর আধুনিকায়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের ব্যয় না বাড়িয়েই কাজের মেয়াদ বাড়ানো হলো। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)।

আইএমইডি জানায়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিআইডব্লিউটিএ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের মেয়াদ আর বাড়ানো যাবে না- এমন শর্তে দুই বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এই মেয়াদে প্রকল্প শেষ করতে প্রকল্পের অনুকূলে প্রয়োজনীয় অর্থ সংস্থান করতে হবে।

অনুমোদিত কর্মপরিকল্পনা বা চুক্তি অনুযায়ী কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হলে ঠিকাদার বা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চুক্তিনামা ও পিপিআর অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলে জানায় আইএমইডি। প্রকল্পের আওতায় মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। প্রকল্পের অন্য কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে মন্ত্রণালয় বা সংস্থার তদারকি বাড়াতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

‘পাটুরিয়া এবং দৌলতদিয়ায় আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ নদী বন্দর আধুনিকায়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ৩৭২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সরকারি অর্থায়নে ২০২২ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা ছিল। তবে এ সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় আরও দুই বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

প্রকল্পের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীবাহী ও মালবাহী যানবাহন পারাপার হয়। এ রুটে প্রতিদিন ১৯টি ফেরি, ৬০-৯০টি লঞ্চ চলাচল করে। নির্বিঘ্নে ফেরি চলাচল ও যানবাহন পারাপারের জন্য পাটুরিয়া এবং দৌলতদিয়া প্রান্তে যানবাহন এবং যাত্রীদের সব ধরনের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

পরিকল্পনায় বলা হয়, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবং সড়কপথে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য এই ঘাট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য সারাদেশে পণ্য পরিবহনের জন্য এখানে বিজনেস হাব গড়ে তুলবে সরকার। প্রকল্পের আওতায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটের উভয় পাড়ে ৬৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। এ ঘাটকে কেন্দ্র করে নদী খনন (ড্রেজিং) করা হবে। শুধু ঘাটের উভয় পাশেই ড্রেজিং করা হবে ৪৫ লাখ ঘন মিটার।

কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য ঘাটে গড়ে উঠবে বহুতল টার্মিনাল ভবন, এর আয়তন ১২ হাজার ২ বর্গমিটার। নদী বন্দরে থাকবে সুবিশাল পার্কিং ইয়ার্ড। থাকবে এক হাজার ৩৪০ মিটারের একটি স্টিল জেটি। পাশাপাশি নির্মিত হবে ২২টি পন্টুন। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো যেন পদ্মায় বিলীন না হয়, সেজন্য উভয় পাড়ে ৮০০ মিটার নদীশাসন কাজ করা হবে।

বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, ঢাকাসহ দেশের পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ স্থাপনে ১৯৪৫ সালে চালু হয় এই ঘাট

More News...

কুষ্টিয়ায় নকল আকিজ বিড়িসহ বিড়ি তৈরির উপকরণ জব্দ

মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের র‌্যালি ও সমাবেশ