সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি নিয়ে ‘গণমুক্তি জোট’র আত্মপ্রকাশ

সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি নিয়ে ‘গণমুক্তি জোট’র আত্মপ্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘গণমুক্তি জোট’ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক জোট আত্মপ্রকাশ করেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে এ জোট গঠন করা হয়েছে। এটিকে নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক জোট বলে উল্লেখ করেছেন তারা। ‘ছড়ি’ প্রতীক নিয়ে এ জোট আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। শনিবার (১১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন এ জোট আত্মপ্রকাশ করে।

সংবাদ সম্মেলনে জোটের কমিটিও ঘোষণা করা হয়। এতে চেয়ারম্যান করা হয়েছে ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদকে। উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ, প্রধান সমন্বয়ক আবু লায়েস মুন্না, মুখপাত্র সাবেক সচিব কাসেম মাসুদ, কো-চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ আর খান, সৈয়দ হারুন-অর-রশীদ, আমিনা খাতুন। এছাড়া সমন্বয়ক হিসেবে রয়েছেন মো. আল-আমিন।

গণমুক্তি জোটের অধীনে কয়টি রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন রয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে দলের চেয়ারম্যান ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের বাইরেও সুশীল সমাজ, সাংস্কৃতিক সংগঠন, ব্যক্তি বিশেষও নির্বাচনে অংশ নিতে চান, শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন চান। আমরা তাদের সম্পৃক্ত করেছি। জোট গঠনের আগে শতাধিক রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনকে আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি।’

ইফতেখার ফুয়াদ বলেন, ‘আমরা শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন চাই। অতীতের দুটি নির্বাচন দেখেছি, নির্বাচনগুলোতে একটি বড় দল নির্বাচন করেনি। তাতে একটি দল ফাঁকা মাঠে গোল দিয়েছে। এখন যদি আবারও নির্বাচন বর্জনের কথা আসে, তাহলে একই দল আবারও খালি মাঠে গোল দেবে। আমরাও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি রাখি। সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকেও নিরপেক্ষভাবে সেই ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা মনে করি, এবার হয়তো সরকার একতরফা ফাঁকা মাঠে গোল দিতে পারবে না। আমরাও একটি শক্তি তৈরি হচ্ছি, যারা এ দেশের জনগণের স্বার্থে কাজ করবে। সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করে ছাড়বে।’

লিখিত বক্তব্যে জোটের মুখপাত্র কাশেম মাসুদ বলেন, দেশে অনেক ক্ষেত্রে অনেক ধরনের উন্নয়ন হলেও ঘুস, দুর্নীতি, অর্থপাচার, সন্ত্রাস, লুটপাট, মতপ্রকাশে বাধা, বেকারত্ব, বৈষম্য, উচ্চ দ্রব্যমূল্য প্রভৃতি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচনী ব্যবস্থাও আজ ভেঙে পড়েছে। এসব কারণে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থার পরিবর্তনে এমন একটি রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা প্রয়োজন, যেখানে সব নাগরিকের অধিকার যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে। সবাই স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন-জীবিকা পরিচালনা করতে পারবে।

তিনি বলেন, দেশের এ অবস্থার জন্য সচেতন নাগরিক ও রাজনৈতিক দলগুলোর দায় রয়েছে। এক্ষেত্রে কেউই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেননি। দলে গণতন্ত্র চর্চার ঘাটতিতে সুস্থ ধারার রাজনীতিরও বিকাশ হয়নি। সরকার ও বিরোধী দল শুধু দোষ-ত্রুটি নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। সঠিক নেতৃত্বের অভাবও আজ জাতীয় সমস্যা। এ অবস্থায় জনগণের সার্বিক মুক্তি নিশ্চিতের লক্ষ্যে দায়িত্বশীল রাজনীতি ও গণতন্ত্র চর্চার প্রতি অঙ্গীকারসহ আমরা গণমুক্তি জোট গঠন করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সুস্থ ধারার রাজনীতি জনগণের সংকট নিরসনে মৌলিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।

অনুষ্ঠানে জোটের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে ড. মোমেনা খাতুন, ড. ইশা মোহাম্মদ, ড. মোহাম্মদ আলী, অধ্যাপক মো. ফজলুল হক, অধ্যাপক ড. শহীদ মঞ্জু, মোহাম্মদ ফজলুল হক, এ আর এম রাজু সিকদার, ইঞ্জিনিয়ার মুসফিকুর রহমান, গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া ও শেখ আব্দুন নুরের নাম ঘোষণা করা হয়।

More News...

কুষ্টিয়ায় নকল আকিজ বিড়িসহ বিড়ি তৈরির উপকরণ জব্দ

মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের র‌্যালি ও সমাবেশ