চোখে অ্যালার্জির সমস্যা? কী করবেন

চোখে অ্যালার্জির সমস্যা? কী করবেন

অনলাইন ডেস্ক : অনেকেই চোখের অ্যালার্জি সমস্যায় ভোগেন। এর প্রধান লক্ষণগুলো হলো- চোখ চুলকানো, জ্বালাপোড়া করা, পানি পড়া ও ফুলে যাওয়া। মাঝেমধ্যে এই সমস্যা চরম আকার ধারণ করে। মূলত মানুষের শরীরের ইমিউন সিস্টেমে কোনো সমস্যা দেখা দিলেই অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এটি ধুলাবালি, খাবারসহ বিভিন্ন বস্তুতে থাকতে পারে।

তবে যাদের শরীরে অ্যালার্জির মাত্রা বেশি তাদের চোখও অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হতে পারে। তাই অ্যালার্জি থেকে মুক্ত থাকার কিছু ঘরোয়া উপায় আছে সেগুলো হলো-

গোলাপ জল

গোলাপ জল চোখের অ্যালার্জির প্রিভেন্টিভ হিসেবে কাজ করে। চোখ অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হলে ২ থেকে ৩ ফোঁটা গোলাপ জল দিয়ে দিন। এতে যে ইনফেকশনের কারণে চোখ অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হয়েছে সেটি কেটে যায়। গোলাপ জল দেওয়ার পর চোখ কিছুক্ষণ বন্ধ করে রাখুন। খোলা রাখলে তরলটি বেরিয়ে যাবে। তখন পুরোপুরি কাজ হবে না।

লবণ পানি

এক গ্লাস পানি নিন। এতে ৩ চা চামচ পরিমাণ লবণ গুলিয়ে পানিটি ভালোমতো ফোটান। ঠান্ডা হয়ে গেলে সেই পানিতে এক টুকরা পরিষ্কার তুলা ভিজিয়ে চোখগুলো ধীরে ধীরে মুছে দিন। এতে চোখে থাকা ময়লা বেরিয়ে যাবে এবং জ্বালাপোড়া বা চুলকানি থেকেও আরাম মিলবে।

ঠান্ডা পানি

কথায় আছে, পানির অপর নাম জীবন। চোখের অ্যালার্জির ক্ষেত্রেও ঠান্ডা পানি অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে। অ্যালার্জির কারণে চোখ ফুলে গেলে, লাল হলে বা চুলকালে বারবার ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন। এতে যন্ত্রণার উপশম হবে।

আমলকি ও মধু

আমলকি পাউডার করে নিন। প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই পাউডারের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং শরীর অ্যালার্জেনমুক্ত থাকবে।

সানগ্লাস

যদি আপনার অতিরিক্ত অ্যালার্জির সমস্যা থেকে থাকে, তবে অবশ্যই কোথাও বের হওয়ার আগে সানগ্লাস পরে বের হবেন। বিশেষ করে যেখানে বাস করেন সেটি যদি ধুলোবালিপূর্ণ এলাকা হয়, তাহলে চোখকে ডাস্ট অ্যালার্জিমুক্ত রাখতে সানগ্লাসের জুড়ি নেই।

পরিচ্ছন্নতা

ঘর এবং বিছানা সবসময় পরিষ্কার রাখবেন। ধুলোবালি যাতে না ওড়ে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। টিভি, মোবাইল ফোন এবং কম্পিউটারের সামনে টানা বসে থাকবেন না। আর চোখ চুলকালে আঙুল দিয়ে রগড়ানো থেকে বিরত থাকুন।

More News...

হার্ট অকেজো হওয়ার কারণ জানলে অবাক হবেন –

চার বছরে যক্ষ্মামুক্ত ৭ হাজার রোগী