রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষুধার্ত বেড়েছে আফ্রিকায়

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষুধার্ত বেড়েছে আফ্রিকায়

অনলাইন ডেস্ক : আফ্রিকানরা ইউক্রেন যুদ্ধের শিকার এবং রাশিয়ার এই দুর্ভোগ লাঘবে সহায়তা করা উচিত-রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক বৈঠকে এমনটাই বলেছেন আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রধান ম্যাকি সাল। রাশিয়ার পর্যটন নগরী সোচিতে গতকাল শুক্রবার এই দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রধান ও সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সাল বলেন, রাশিয়া খাদ্যশস্য ও সার রপ্তানি সহজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

আফ্রিকার ৪০ শতাংশ গমের চাহিদা মেটায় রাশিয়া ও ইউক্রেন। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো দিয়ে দেশটির খাদ্যশস্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। মস্কোর অভিযোগ, রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ফলে তাদের খাদ্যশস্য ও সার রপ্তানি বিঘ্নিত হচ্ছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে ইউক্রেন উভচর আক্রমণ ঠেকাতে নিজেদের বন্দরগুলোর প্রবেশ পথে মাইন পেতে রেখেছিল। এখন কিইভ ও পশ্চিমারা অভিযোগ করছে, রাশিয়া ইউক্রেনের বন্দরগুলো অবরোধ করে রেখেছে।

রাশিয়া ইউক্রেনের বন্দর দিয়ে শস্য রপ্তানি বাধা দিচ্ছে, এই অভিযোগ অস্বীকার করেন পুতিন। তিনি বলেন, রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা আজভ ও কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো দিয়ে সহজে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি করতে দিতে প্রস্তুত তারা। তবে সবচেয়ে ভালো ও সুলভ সমাধান হতে পারে, বেলারুশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির পথ খুলে দেওয়া।

জাতিসংঘের সংকটবিষয়ক সমন্বয়ক আমিন আ্ওয়াদ জেনেভায় বলেন, এই বন্দরগুলো চালু করতে না পারলে দুর্ভিক্ষ হতে পারে।তিনি বলেন, খাদ্যশস্যের অভাব ১৪০ কোটি মানুষের ওপর প্রভাব পড়বে এবং এটি অভিবাসন প্রত্যাশীদের ব্যাপক স্রোত হতে পারে।

যুদ্ধ ইতোমধ্যে বিদ্যমান অভাবকে বাড়িয়ে দিয়ে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরু হবার পর থেকে আফ্রিকায় খাবারের দাম বেড়েই চলেছে এবং বিপুল সংখ্যক মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।

জাতিসংঘেরর বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) প্রধান মাইক ডানফোর্ড বলেন, গত বছর এই সময় আফ্রিকায় প্রায় ৫ কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত ছিল। যা এখন ৮ কোটিতে দাঁড়িয়েছে।

জাতিসংঘের মতে, দেশটির এক-তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠীর খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। শাদ খাদ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। দেশটির সরকার আন্তর্জাতিক সহায়তারর জন্য আবেদন জানিয়েছে।

এদিকে, ম্যাকি সাল পুতিনকে বলেন, আফ্রিকার দেশগুলো ইউরোপের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে দূরে হলেও তারা অর্থনৈতিক সংকটের শিকার হচ্ছে। এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর পক্ষ হয়েও পুতিনকে খাদ্য রপ্তানির অনুরোধ করেন তিনি।

অন্যদিকে, বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকটের জন্য পশ্চিমা দেশগুলো দায়ী, এমন অভিযোগ গত শুক্রবার নাকচ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

More News...

কোন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল?

৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ