যশোরে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়ঙ্কর ওমিক্রন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্রান্ত হওয়ায় অভিযানে ভাটা

যশোরে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়ঙ্কর ওমিক্রন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্রান্ত হওয়ায় অভিযানে ভাটা

হাফিজুর শেখ, যশোর থেকে : জ্যামিতিক হারে যশোরে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। এজন্য প্রথমে মধ্যম ঝুঁকিতে থাকা যশোরকে তিনদিনের মাথায় রেড জোনের তালিকায় রাখা হয়েছে। ঢাকার বাইরে প্রথম যশোরে শনাক্ত হয়েছে করোনার ভয়ঙ্কর ধরন ওমিক্রন। এদিকে শহরের মেন পয়েন্ট দড়াটানা মোড়ে ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশের মুখে নেই মাক্স।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাধারণ মানুষকে মাস্ক ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার উপর জোর দেয়া হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে অধিকাংশ মানুষ মাস্কই পরছেন না।এরই মধ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যারয়ের ল্যাবে আরো ৩৫ জনের ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়টির একদল গবেষক করোনার নতুন এ ধরন শনাক্তের বিষয়টি প্রকাশ করেন।

ঠান্ডা, গলা ব্যথা, মাংস পেশিতে ব্যথা, হালকা জ্বর রয়েছে তাদের। গবেষক দলটি গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ৪১ জনের নমুনার স্যাঙ্গার সিকুয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে ৩৫ জনের প্রাথমিকভাবে ওমিক্রন শনাক্ত করেন। বাকিগুলো ডেল্টা ধরন বলে শনাক্ত করা হয়েছে। এর আগে গত ১২ জানুয়ারি জিনোম সেন্টারে তিনজনের নমুনায় ওমিক্রন শনাক্ত করা হয়। এ নিয়ে যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে ৩৮ জনের শরীরে ওমিক্রন শনাক্ত হলো।

যশোর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ মানুষ মাস্কবিহীন চলাফেরা করছেন। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে না। এজন্য শহরের অধিকাংশ বাণিজ্যিক এলাকায় জটলা লেগেই থাকছে। যাদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক নেই। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, জনবল সংকটের কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সামেজ্জামান বলেন, ‘এই মুহূর্তে জেলা প্রশাসনের তিনজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট করোনায় আক্রান্ত কয়েকদিন আগে সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন করোনায় আক্রান্ত হন।

তিনি এখনো চিকিৎসাধীন৷ শনিবার সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান এবং সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কেএম মামুনুর রশীদ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৷ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই মুহূর্তে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মেহরাজ শারবিন কর্মরত রয়েছেন ৷ এই একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে৷’

More News...

বিড়ির শুল্ক ও অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে জনসভা

বিড়ি শিল্পের শুল্ক প্রত্যাহারসহ পাঁচ দাবিতে বগুড়ায় মানববন্ধন