২৪ জানুয়ারি ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস সামনে রেখে রোববার (২৩ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘৬৯ এ স্বৈরশাসনের পতনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা-স্বাধিকারের দ্বার উন্মুক্ত হয়েছিলো। কিন্তু স্বাধীনতাপ্রাপ্তির প্রায় অর্ধশতাব্দি অতিক্রান্ত হলেও দেশীয় কর্তৃত্ববাদী বর্তমান স্বৈরাচার সরকার ঔপনিবেশিক প্রভুদের মতো দুঃশাসন চালিয়ে জনগণকে ক্ষতবিক্ষত করছে। বর্তমানে জনগণের নেই কোনো নাগরিক স্বাধীনতা, মানবিক মর্যাদা ও নির্ভয়ে কথা বলার অধিকার। ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে ঘরে ফেরার নিশ্চয়তাটুকুও আজ অবশিষ্ট নেই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের গণতন্ত্র ও নাগরিকের মৌলিক অধিকার সুরক্ষায় গণঅভ্যুত্থান দিবস আমাদের প্রেরণার উৎস। আমি ঊনসত্তরের গণআন্দোলনসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মাইলফলক ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান। মুক্তিকামী নিপীড়িত জনগণের পক্ষে জাতির মুক্তি সনদ খ্যাত ৬ দফা দাবি এবং পরবর্তীতে ছাত্র সমাজের দেওয়া ১১ দফা কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয়েছিল এ গণঅভ্যুত্থান। ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি গণঅভ্যুত্থানের নায়ক শহীদ আমানুল্লাহ আসাদুজ্জামানের (যিনি শহীদ আসাদ নামে নাম পরিচিত) আত্মদানের পর ২১, ২২, ২৩ জানুয়ারি শোক পালন করে। এরপর ২৪ জানুয়ারি ঢাকায় সর্বস্তরের গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়।