নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছে এবাদত : লিটন

নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছে এবাদত : লিটন

ক্রীড়া প্রতিবেদক : নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট ম্যাঙ্গানুই টেস্টের চতুর্থ দিন মন্দই হতে যাচ্ছিল বাংলাদেশের জন্য। তবে শেষ ঘণ্টায় বল হাতে পুরো ম্যাচের আলো নিজের দিকে নিয়ে আসেন পেসার এবাদত হোসেন। পরপর দুই ওভারে তিন স্বাগতিক ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে দেন তিনি। আর তাতেই স্বপ্নের মতো আরও একটি দিনের দেখা পায় মুমিনুল হকরা। যদিও টেস্ট ক্যারিয়ারে এতটা সাবলীল বোলিং এবারই প্রথমবার উপহার দিয়েছেন এবাদত।

জাতীয় দলের হয়ে খেলা ১০ টেস্টে নিজের সামর্থ্যের ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারেননি তিনি। বরং সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে হরহামেশা। এই যেমন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান টেস্ট শুরুর আগে ১০ টেস্টে তার উইকেট ছিল মাত্র ১১টি। তার গড় ছিল দুঃস্বপ্নের মতো (৮১.৫৫)। তবে চতুর্থদিনে আলো কেড়ে নেওয়া এই পেসারকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন লিটন দাস। এই ইনিংসের বোলিং দিয়ে এবাদত নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন বলেও মনে করেন তিনি।

নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩২৮ রানের সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড, যেখানে ১৮ ওভার বল করে ৭৫ রান খরচায় এবাদতের উইকেট মাত্র একটি। জবাবে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে পেয়েছে ৪৫৮ রানের পুঁজি। ১৩০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা নিউজিল্যান্ড চতুর্থ দিন শেষ করেছে ৫ উইকেটে ১৪৭ রানে। ৬৩ রানে ২ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ডকে টেনে নেয় রস টেইলর ও উইল ইয়াংয়ের ৭৩ রানের জুটি। এই যুগলের জুটিতে প্রায় দিন শেষ করার পথেই ছিল কিউইরা। কিন্তু সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়ান এবাদত।

শুরুতে টেইলর-ইয়াংয়ের ৭৩ রানের জুটি ভাঙেন এবাদত। ভেতরে ঢোকানো গুড লেংথের বলে বোল্ড করেন ১৭২ বলে ৭ চারে ৬৯ রান করা ইয়াংকে। এক বলের ব্যবধানে এবাদত বোল্ড করেন হেনরি নিকোলসকেও (০)। নিজের পরের ওভারেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন টম ব্লান্ডেলকে (০)।এবাদতের ৬ ওভারের এই স্পেলটি ছিলো এমন ৬-২-১৪-৩।

প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকানো ডেভন কনওয়েকেও ভয়ংকর হওয়ার আগে ফেরান এবাদত। সব মিলিয়ে ইনিংসে এখনো পর্যন্ত এবাদতের বোলিং ফিগার ১৭-৪-৩৯-৪। যা তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগারও।

দিন শেষে তার ভূয়সী প্রশংসা করে সংবাদ সম্মেলনে লিটন দাস বলেন, ‘সে (এবাদত) একটা ফরম্যাটেই খেলে, অনেক সময় বাংলাদেশে খেলা হলে খেলে আবার খেলে না। সুতরাং এই জিনিসগুলা মাথায় রাখতে হবে যে একটা পেস বোলারের জন্য সবসময় সব কিছু অনুকূলে থাকে না। হ্যাঁ তার হয়তো গড়টা একটু বেশি, ইকোনোমি একটু বেশি ছিল, কিন্তু তার যে যোগ্যতা আছে, সে যে ভালো বোলার সেটি সে আজ প্রমাণ করেছে।’

‘সামনেও সে প্রমাণ করবে, এই বিষয়ে আমি বেশ আশাবাদী। আমার মনে হয় তাকে একটু সময় দেওয়া উচিত। আমার মনে হয় আমি যা দেখলাম, ওর ম্যাচ ১১টা কি ১২টা (১১ টি চলমান)। আমার মনে হয় একটা টেস্ট খেলোয়াড়ের ১৫-১৭ ম্যাচ লাগে তার অভিজ্ঞতাটা আনতে, ক্রিকেটটাকে বুঝতে। তাই আমার মনে হয় ওই সময়টা তাকে দেওয়া উচিত’, যোগ করেন তিনি।

এবাদতের শেষ বিকেলের স্পেলটি নিয়ে লিটন বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের যতগুলা বোলার বল করেছে সবাই একই লেংথে, আমাদের যে পরিকল্পনা ছিল যে অনুযায়ী বল করেছে। এবাদত আজকে দুর্দান্ত ছিল। ওর দুটো স্পেলই চমৎকার ছিল। আমার মনে সে একই জায়গায় বল করার কারনে অনেক হেল্প পেয়েছে। তার ব্রেক থ্রু আমাদের দলকে অনেক বুস্ট আপ করেছে।’

More News...

সল্টের ‘কালবৈশাখী ঝড়ে’ নববর্ষ বরণ কলকাতার

নেইমার পেলেন বড় সুখবর