স্ত্রীর দিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে মাথার চুল, বিছানার চাদর, ঘরের আসবাবপত্র, স্ত্রীর ব্যবহৃত পোশাক-পরিচ্ছেদ ঠিক আছে কিনা সব গভীরভাবে পরীক্ষা করে মামুন।
আফরিন খুবই সুন্দরী। তার সৌন্দর্য দেখেই পাগল হয়ে বিয়ে করেছিলো মামুন। বিয়ে করার কয় মাস যেতেই স্ত্রীকে চরম সন্দেহ করতে থাকে সে। এ নিয়ে শুরু হয় দাম্পত্য কলহ!
মামুনের রাতে স্ত্রীর পায়ে দড়ি বেঁধে ঘুমায়। আফরিন ঘুম থেকে ওঠে তার পায়ে দড়ি দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এভাবেই একের পর এক সন্দেহ ভুল প্রমাণিত হলেও মামুন আফরিনকে স্বাভাবিক ভাবে বিশ্বাস করতেই পারছে না।
আফরিন মামুনের মেন্টাল আচরণে বিরক্ত হয়ে পড়ে। খালাতো ভাইকে বাসা থেকে বের করে দেয় মামুন। এতে আফরিন প্রচণ্ড ক্ষুদ্ধ হয়। আফরিন ও মামুনের সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়। আফরিন মামুনকে ডিভোর্স দিবেই বলে জানিয়ে দেয়।
এসব শুনেও আফরিন তার স্বামী মামুনকে ক্ষমা করে না। সন্দেহের জটিলতায় একটি সুখী সংসার হুমকির মধ্যে পড়ে যায়। এমন এক গল্প নিয়েই নির্মিত হয়েছে টেলিফিল্ম ‘মি. মেন্টালম্যান’। এটি নির্মাণ করেছেন কবি ও নির্মাতা জহির খান। রচনা করেছেন কবি-নাট্যকার মিজানুর রহমান বেলাল।
এখানে মামুন চরিত্রে ইরফান সাজ্জাদ আর আফরিন চরিত্রে মৌসুমী হামিদ অভিনয় করেছেন।
ডা. চরিত্রে আব্দুল্লাহ রানা, অফিস সহকারী মুকিব জাকারিয়া, অন্যান্য চরিত্রে রকি খান, নয়ন, নীহারিকা মৌ, আহমেদ জিসান, হামিদুল ইসলাম ও এ্যানিকে দেখা যাবে ‘মি. মেন্টালম্যান’ টেলিছবিতে।
নির্মাতা এ নাটক নিয়ে বলেন, ‘আমি সবসময় যাপিত জীবনের দুঃখ-কষ্ট ও প্রেম-ভালোবাসার মাধ্যমে সমাজে মেসেজ দেবার চেষ্টা করে থাকি। এর ধারাবাহিকতায় মিজানুর রহমান বেলালের রচনায় সুন্দর একটি গল্প নিয়ে কাজ করলাম। সবাই ভালো অভিনয় করেছে। আশা রাখি দর্শক নতুন কিছু পেতে যাচ্ছে।’
‘মি. মেন্টালম্যান’ শিগগিরই একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলে প্রচার হবে বলে পরিচালক জানান।