সালমানের একগুচ্ছ সিক্রেট ফাঁস করলেন তার পাকিস্তানি প্রেমিকা

সালমানের একগুচ্ছ সিক্রেট ফাঁস করলেন তার পাকিস্তানি প্রেমিকা

বিনোদন ডেস্ক : সালমান খানের প্রাক্তন বান্ধবী সোমি আলির পুরনো সাক্ষাৎকারগুলি আবার ভাইরাল হয়েছে। সেখানে সোমি জানিয়েছিলেন, ৫ বছর বয়স থেকে যৌন নির্যাতনের শিকার তিনি। সালমানের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন ক্রমাগত হয়রানির সম্মুখীন হয়েছিলেন। মাথায় বোতল ভাঙার ঘটনার সত্যতা জানিয়ে ঐশ্বর্য রায়ের প্রশংসাও করেছেন সোমি। বলিউডে প্রায় ১০টি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।

সাইফ আলি খান, মিঠুন চক্রবর্তী এবং সুনীল শেঠির মতো অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন সোমি আলি। ১৯৯১ সালে ভারতে এসেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর লক্ষ্য কোনও দিনই অভিনয় করা ছিল না। নাভিক্সা বাগ্গাকে দেওয়া এক পুরনো সাক্ষাৎকারে সোমি বলেছেন, তিনি পাকিস্তান থেকে এসেছেন এবং তার আগে ফ্লোরিডায় থাকতেন। ছোট থেকেই তিনি নারীর প্রতি পারিবারিক সহিংসতার সাক্ষী। এটা তার জন্য নতুন কিছু ছিল না। মাত্র ৫ বছরে বয়সে ৪ বার যৌন হয়রানির শিকার হন। বাড়িতে যে রান্না করত, অভিনেত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছিলেন। এরপর ৯ বছর বয়সেও যৌন হেনস্থার শিকার হন তিনি।

পরিবার থেকে বাড়িতে রান্না করত যে বাবুর্চি তাঁকে শাস্তি দিলেও, সোমিকে বলা হয়েছিল এই বিষয় নিয়ে যেন তিনি কারো সঙ্গে আলোচনা না করেন। সোমি বলেন, আমি খুব ছোট ছিলাম এবং ভাবতাম আমি কিছু ভুল করেছি কিনা। এর পর সোমির অভিযোগ, ১৪ বছর বয়সে ধর্ষণের শিকার হন সোমি। একটি ১৭-১৮ বছরের ছেলে তাঁর সঙ্গে এমন আচরণ করেছিলেন, পরে অভিনেত্রী ছেলেটির শাস্তির ব্যবস্থা করেছিলেন।

১৬ বছর বয়সে ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ দেখে সালমানকে ভালো লেগেছিল সোমির। বাবা-মায়ের কাছে বায়না করেছিলেন ভারতে আসবেন, সালমানকে বিয়ে করবেন। বাকি আর পাঁচটা বাবা-মায়ের মতো তাঁর বাবা-মা-ও বিষয়টাকে গুরুত্ব দেয়নি। তাই মিথ্যের সাহায্য নিয়ে পাকিস্তান থেকে মুম্বাই ‘পালিয়ে’ আসেন তিনি।

সোমির কথায়, সেই সময় ১৯৯১ সালে ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ ছবি দেখে সালমানের জন্য পাগল হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সুযোগ বুঝে আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করার নাম নিয়ে মুম্বাইতে চলে আসেন। নিজের পোর্টফোলিও তৈরি করে ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয় কররা চেষ্টা শুরু করেন তিনি।

পাকিস্তান থেকে সোজা মায়ামি। সেখান থেকে মুম্বাই। এরপরই ধীরে ধীরে অভিনয় জগতে প্রবেশ। মুম্বাইয়ে পৌঁছে পাঁচতারা হোটেলে থাকা শুরু করেন। সোমির মুম্বাই আসার একমাত্র লক্ষ্য ছিল সালমানকে বিয়ে করা। ‘স্ট্রাগলিং অভিনেত্রী’ পাঁচতারায় এসে থাকেন, বলি-পাড়ায় তাঁকে নিয়ে হাসাহাসি চলত। যদিও তিনি জানান, তাঁর লক্ষ্য অভিনয় করা কোনও দিনই ছিল না।

পর্দার প্রেমের ভালোবাসায় ভরে উঠবে তাঁর জীবন, দু-চোখে এই স্বপ্নই ছিল ষোড়শী পাকিস্তানি তরুণীর। মায়ামিতে থাকাকালীন সালমান খানের মা সালমা খানের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল সোমির। পরবর্তীকালে সালমা খানের সূত্র ধরেই সালমানের সঙ্গে আলাপ হয় সোমির। এরপরই একে অপরকে আট বছর ডেট করেছিলেন দুজনে। যদিও দুজনের সম্পর্ক আর বেশি দূর এগোয়নি পরবর্তীকালে।

এক সাক্ষাত্কারে প্রেমিকের নাম প্রকাশ না করে সোমি বলেছিলেন, যে ভারতে তার সম্পর্ক প্রায় ৮ বছর ধরে চলেছিল এবং তিনি মৌখিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। অভিনেত্রী বলেছিলেন, মারধরের পর তিনি বিভিন্ন সময় সকলের সামনে সিঁড়ি থেকে পড়ে যাওয়া বা অন্য কোনও কারণ দেখিয়ে ভান করতেন।

সোমির কথায়, তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক বলতেন, ভালোবাসে তাই মারধর করে তাঁকে। সেই সময় এই জিনিসটা মেনে নিয়েছিলেন সোমি। এরপরই তিনি বুঝতে পারেন, মারধরের সঙ্গে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সোমি। ১৯৯৯ সালে সালমানের সঙ্গে প্রেম সম্পর্ক ভাঙার বেশ কয়েক বছর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান সোমি। সেখানে নতুন করে উচ্চশিক্ষা শুরু করেন।

সাক্ষাত্কারে সোমি বলেছিলেন, তিনি সম্পর্কের সময় মারধরকে স্বাভাবিক বলে মেনে নিয়েছিলেন। তবে এবিষয়ে ঐশ্বর্যের প্রশংসা করেন সোমি। অভিনেত্রী বলেন, ঐশ্বর্য এমন একটা মেয়ে যে সম্পর্কে সহিংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল এবং এফাইআর দায়ের করেছিল থানায়। এই কারণে ঐশ্বর্যকে অনেক প্রশংসা এবং সম্মান করে বলে জানান সোমি।

টেলি তড়কাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সোমি বলেছিলেন, যখন ভারতে ছিলেন, মিডিয়ার কাছ থেকেও সমর্থন পাননি তিনি। তখন কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছিল না এবং সেক্ষেত্রে অনেক ভুল প্রতিবেদন করা হতো। তিনি একটি ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন।

সোমি বলেন, ‘প্রতিবেদনে লেখা ছিল সালমান আমার মাথায় কোল্ড ড্রিংসের বোতল ভেঙে দিয়েছিল। যদি এটি ঘটত তাহলে একটা অ্যাম্বুলেন্স ডাকতে হত’। সোমি জানান, ওই সময় রেস্টুরেন্টে তার এক বন্ধুও ছিল। উনি বোতল ছুঁড়ে মারেননি। যখন জানতে পেরেছিলেন আমার ড্রিঙ্কসে অ্যালকোহল মেশানো আছে, উনি গ্লাসে থাকা পানীয় আমার মাথায় ঢেলে দিয়েছিলেন।

More News...

কুষ্টিয়ায় নকল আকিজ বিড়িসহ বিড়ি তৈরির উপকরণ জব্দ

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের দুর্নীতি মামলা: স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক এমডির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা