ফের পেছাল মডেল তিন্নি হত্যা মামলায় রায়

ফের পেছাল মডেল তিন্নি হত্যা মামলায় রায়

নিজস্ব প্রতিবেদক : মডেল ও অভিনেত্রী সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ফের পেছাল। ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের বিচারক কেশব রায় চৌধুরী এ মামলার রায় ঘোষণার কথা ছিল।

তিন্নির বাবা ও চাচার সাক্ষ্যগ্রহণ না হওয়ায় রায় ঘোষণার তারিখ ফের পেছাল।

আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোমবার রাষ্ট্রপক্ষ বাদীর পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের বিচারক কেশব রায় চৌধুরী এ আদেশ দেন।

এর আগেও কয়েক দফা পেছানো হয় আলোচিত এ হত্যা মামলার রায়। সবশেষ গত ২৬ অক্টোবর মামলাটির রায়ের দিন ধার্য করা হয়েছিল, কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন রায়ের তারিখ পিছিয়ে বিচারক নতুন দিন ধার্য করেন ১৫ নভেম্বর।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী জানান, গত ২৬ অক্টোবর তিন্নি হত্যা মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আবারও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আবেদন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সেটি মঞ্জুর করে। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষকে ২৬ অক্টোবরেই যুক্তিতর্ক শেষ করতে বলেন বিচারক। রাষ্ট্রপক্ষ সেদিন বিকেলে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে। আর রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন না করলেও ১৫ নভেম্বর রায় ঘোষণা করা হবে বলে সেদিন আদালত জানিয়েছিল।

কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর মরদেহ পায় পুলিশ। কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে সুরতহালের পর ময়নাতদন্ত করে। মর্গে চার দিন রাখার পর ১৫ নভেম্বর অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয় ওই নারীকে। মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করেন কেরানীগঞ্জ থানার তৎকালীন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. শফিউদ্দিন। অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের আসামি করা হয় মামলায়। এরপর পত্রিকায় ওই নারীর মরদেহের ছবি প্রকাশ হলে সেটি মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নির বলে শনাক্ত করেন তার স্বজনরা। চাঞ্চল্যকর হিসেবে ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর মামলাটির তদন্তভার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে ন্যস্ত করা হয়। আর তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির তৎকালীন পরিদর্শক ফজলুর রহমান। এরপর মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পরিদর্শক সুজাউল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গোলাম মোস্তফা, এএসপি আরমান আলী, এএসপি কমল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ ও এএসপি মোজাম্মেল হক।

সবশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক ছাত্রনেতা ও সাংসদ গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে মামলাটির অভিযোগপত্র জমা দেন।

২০১০ সালের ১৪ জুলাই অভির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন করে আদালত। চার্জশিটভুক্ত ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

More News...

র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র হলেন কমান্ডার আরাফাত

৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া