রাশিয়ার নির্বাচন নিয়ে কোনো অভিযোগ ছিল না : সিইসি

রাশিয়ার নির্বাচন নিয়ে কোনো অভিযোগ ছিল না : সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা আছে। আর তাই নির্বাচনে উপচে পড়া ভোটার থাকে। রাশিয়ার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ শেষে দেশে ফিরে নিজ কার্যালয়ে বুধবার এ কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।

ইসির প্রতি অনাস্থার প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সিইসি বলেন, ‘ইসি মোটেই অনাস্থার জায়গা নয়। জনগণের আস্থা নেই এ কথা বলা যাবে না; জনগণ তো বলেনি আস্থা নেই। অনেক সময় নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করে যারা, তারা বলেন জনগণের আস্থা নেই। যদি আস্থা না থাকে, যেসব নির্বাচন হচ্ছে তাতে উপচে পড়া ভোটার থাকে কীভাবে? লাইন থাকে, ৬০-৮০ শতাংশ লোক ভোট দেয়। এটা আস্থার জায়গা।’

রাশিয়ার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ শেষে দেশে ফেরা সিইসি দেশটির নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। যদিও সেই নির্বাচন নিয়ে বিশ্ব মিডিয়ায় নানা অভিযোগের কথা শোনা গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলেছে, নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া ব্যালট বাক্স ভোটে পূর্ণ করারও বেশ কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি ভোটারদের ভোটদানে বাধ্য করার অভিযোগও পাওয়া গেছে।

কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের ওই নির্বাচন নিয়ে বলেন, ‘৪৯ দেশ থেকে আমরা ২৪৫ জন নির্বাচন পর্যবেক্ষক গিয়েছিলাম। বাংলাদেশের ব্যবস্থা সম্পর্কে তাদের জানিয়েছি। সেখানে ভোটকেন্দ্র নিয়ে গন্ডগোল, অভিযোগ ছিল না। নেই ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের সুযোগ। তাদের ইভিএম মেশিনে ভোট হয় না, তবে অন্য প্রযুক্তিতে ভোট হয়। পাসপোর্ট দেখে ভোটারকে শনাক্ত করে। ভোট দিলে সঙ্গে সঙ্গে মনিটরে দেখতে পান। সরকারি কর্মচারীরাও অ্যাপের মাধ্যমে ভোট দিতে পারেন।’

নুরুল হুদা বলেন, একটা টাইম জোনে সেখানে নির্বাচন হয়। সব ভোটকেন্দ্র তারা সিসিটিভির আওতায় এনেছে। ভোটকেন্দ্রের পরিস্থিতি তারা ঘরে বসে দেখতে পারেন। পারসেন্টেজ প্রতি মিনিটে দেখতে পারেন।

জয়ের পথে পুতিনের দল, ভোট জালিয়াতির অভিযোগজয়ের পথে পুতিনের দল, ভোট জালিয়াতির অভিযোগ
এদিকে আগামী ফেব্রুয়ারিতেই শেষ হচ্ছে নুরুল হুদা কমিশনের মেয়াদ। পরবর্তী কমিশন কেমন হওয়া উচিত জানতে চাইলে সিইসি বলেন, পরবর্তী কমিশন গঠন রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। অবশ্যই এটা হওয়া উচিত। আমি এটাকে সমর্থন করি। যেন নতুন কমিশন সবার সমর্থনযোগ্য হয়, সে রকম একটি কমিশন হওয়া উচিত।

নতুন কমিশন গঠনে বর্তমান কমিশনের মতামত থাকে না জানিয়ে নুরুল হুদা বলেন, নতুন কমিশন কী হবে, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো মতামত থাকে না। কমিশনের কাছে সাধারণত মতামত চাওয়া হয় না। যদি চাওয়া হয় তাহলে আমরা কমিশন বসে দেখব, আমাদের কোনো মতামত আছে কি না।

ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের বিষয়ে কথা উঠছে। এরই মধ্যে রাষ্ট্রের বিশিষ্টজনেরা আইন প্রণয়নের বিষয়ে জোর দাবিও জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, আইন তো তৈরি করে সংসদ। আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমাদের আইনগুলো হয়। তাদের কাছ থেকে এ রকম কোনো ইঙ্গিত আসেনি যে, আইন তৈরি করতে হবে কি না। তারা বলেন, সাংবিধানিক যে ব্যবস্থা আছে সে অনুযায়ী করার কথা। এটা আমরা টেলিভিশন, পত্রপত্রিকায় দেখি। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো আলোচনা হয়নি। আইন করার বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য রাষ্ট্রপতি করতে পারেন। গতবার তিনি সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। এটা তো রাষ্ট্রপতির বিষয়। সেটা বলতে পারব না। এটা ওই স্টেজে হতে পারে। আমাদের করণীয় কিছু নেই। ঐকমত্যের বিষয়ে আমাদের কোনো ভূমিকা থাকে না বলে জানান সিইসি।

More News...

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের দুর্নীতি মামলা: স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক এমডির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের র‌্যালি ও সমাবেশ