এবারের বাজেট উন্নয়ন ও জনবান্ধব : কাদের

এবারের বাজেট উন্নয়ন ও জনবান্ধব : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটকে ‘উন্নয়ন ও জনবান্ধব’ আখ্যা দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘দেশের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় বাজেট। ছয় লাখ কোটি টাকার জনবান্ধব ও উন্নয়নবান্ধব একটি বাজেট এটি।’

বৃহস্পতিবার বাজেট উত্থাপনের পর সংসদে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এই বাজেট জীবন ও জীবিকাকে প্রাধান্য দিয়ে দেশের সব মানুষের অংশগ্রহণের নিশ্চয়তাসহ একটি বাস্তবভিত্তিক সংকটকালীন সময়োপযোগী বাজেট।

বাজেটকে স্বাগত জানাল আওয়ামী লীগ : প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘গণমুখী ও জনগণের স্বার্থের বাজেট’ আখ্যা দিয়ে স্বাগত জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। বাজেট উত্থাপনের পরপরই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ বাজেট পেশের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে অভিনন্দন জানান দলের নেতারা।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই বাজেট সময়োপযোগী ও জনকল্যাণমুখী। এ বাজেট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে দেশের অগ্রগতিতে সহায়ক হবে। মহামারি করোনার কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে যখন মন্দা চলছে, সেই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময়োপযোগী এ বাজেট দিয়েছেন।

দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, করোনা মহামারির আঘাতকে কাটিয়ে দেশের অর্থনীতিকে আরও বেগবান এবং সচল করার জন্যই এই বাজেট পেশ করা হয়েছে। এ বাজেট অত্যন্ত ভালো, গণমুখী এবং জনবান্ধব। একই সঙ্গে এটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং বাজেট।

দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে বলে দেওয়া হয়েছে বা হবে বাজেট কাল্পনিক ও বাস্তবায়নযোগ্য নয়। এটি গত সাড়ে ১২ বছর ধরেই শুনে আসছি। কিন্তু প্রতিবারই দেখা গেছে, বাজেট বাস্তবায়নের হার ৯৫ শতাংশের বেশি। এই করোনা মহামারির সময়ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সরকার বাজেট বাস্তবায়নে সক্ষম হয়েছে। দেশের রপ্তানি আয় এবং রেমিট্যান্সও বেড়েছে। অনেকেই অনেক কথা বলেন, শঙ্কা ও আশঙ্কার কথাও বলেন। সেগুলো ভুল ও মিথ্যা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

দলের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, এই বাজেট মানুষের কল্যাণের জন্য। সংকট মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য বাজেটে সব সেক্টরের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। সবকিছু করা হয়েছে মানুষের জন্য।

রাজধানীতে আনন্দ মিছিল : বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীতে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে আওয়ামী লীগের সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ করে। মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে মিছিল-সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নগর নেতা নুরুল আমিন রুহুল এমপি, ডা. দিলীপ রায়, আবদুস সাত্তার মাসুদ, শারফুদ্দিন আহমেদ সেন্টু, কাজী মোরশেদ হোসেন কামাল, মিরাজ হোসেন, মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, আখতার হোসেন, গোলাম আশরাফ তালুকদার, গোলাম সরোয়ার কবির, রিয়াজউদ্দিন রিয়াজ, সাইফুন্নবী সাগর, আবদুল মতিন ভূঁইয়া, এফ এম শরিফুল ইসলাম, মোজাম্মেল হোসেন হেলাল, অ্যাডভোকেট জগলুল কবির, ড. ওমর বিন আবদাল আজিজ তামিম প্রমুখ।

একই স্থানে আনন্দ শোভাযাত্রা ও সমাবেশের আয়োজন করে কৃষক লীগ। সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের নেতৃত্বে শোভাযাত্রায় অংশ নেন কেন্দ্রীয় নেতা ডা. নজরুল ইসলাম, সাখাওয়াত হোসেন সুইট, আবুল হোসেন, বিশ্বনাথ সরকার বিটু, অ্যাডভোকেট গাজী জসিম উদ্দিন, আসাদুজ্জামান বিপ্লব, ড. হাবিবুর রহমান মোল্লা, সৈয়দ সাগিরুজ্জামান শাকীক, নূরে আলম সিদ্দিকী হক, হিজবুল বাহার রানা প্রমুখ।

যুবলীগের আনন্দ মিছিলে অংশ নেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ, হাবিবুর রহমান পবন, তাজ উদ্দিন আহমেদ, মোয়াজ্জেম হোসেন, রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, কাজী মাজহারুল ইসলাম, সাইফুর রহমান সোহাগ, জহির উদ্দিন খসরু, সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মো. শহিদুল হক রাসেল, মশিউর রহমান চপল, ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, জয়দেব নন্দী, মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ প্রমুখ।

এ ছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি এক বিবৃতিতে ‘গণমুখী’ বাজেট উপস্থাপন করায় প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

More News...

ওবায়দুল কাদেরের মস্তিষ্ক অলস-হৃদয় দুর্বল : রিজভী

বিএনপি বাঙালি সংস্কৃতিকে সহ্য করতে পারে না: কাদের