নিউ মার্কেটে মানুষের ঢল

নিউ মার্কেটে মানুষের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের প্রয়োজন বিবেচনায় সরকার শর্তসাপেক্ষে মার্কেট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব মেনে বেচাবিক্রি করতে বলা হলেও তা কাগজে কলমেই রয়ে যাচ্ছে।

নির্দেশনা মানছেন না অধিকাংশ ব্যবসায়ী ও ক্রেতা। করোনাভীতি উপেক্ষা করে ক্রেতাদের ঢল নামছে মার্কেটগুলোতে। মানুষের ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা নেই শপিংমলগুলোতে। শারীরিক দূরত্বসহ করোনা সতর্কতা অমান্য করছেন অনেক ক্রেতা।

শুক্রবার (০৭ মে) রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্রই। মার্কেট ঘুরে দেখা যায় নানা বয়সী ক্রেতার ভিড়। চলতি পথে পা ফেলার মতো জায়গা নেই। কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতার মধ্যে নারীর সংখ্যা বেশি। রয়েছে শিশু-কিশোররাও।

ঈদকে কেন্দ্র করে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানুষ ছুটছেন পছন্দের জামা-কাপড় কিনতে। জমজমাট হয়ে উঠেছে নিউ মার্কেট ও এই এলাকার শপিং মল। ক্রেতা ও বিক্রেতারা পাত্তা দিচ্ছেন না করোনা সংক্রমণের ভয়কে। প্রশাসন কিছুটা ছাড় দেওয়ায় ঈদবাজারে অনেকটাই ঢিলেঢালা ভাব।

কেনাকাটার তোড়জোড়ে ক্রেতা-বিক্রেতা কাউকেই স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে দেখা যায়নি। অধিকাংশ দোকান মানুষে ঠাসা। নেই সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই। শুধু মার্কেট-শপিং মলের ভেতরের দোকানই নয়, মানুষে ঠাসা ফুটপাতের দোকানও। বরং সেখানে ভিড় আরও বেশি।

নিউ মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী সোহেল রানা বলেন, ঈদের আগে শেষ শুক্রবার বলে আজ ভিড় একটু বেশি। মাঝে মাঝে আমাদের নিজেদেরও ভয় লাগছে। আমরা চাই ক্রেতা আসুক কিন্তু তারাও তো সামাজিক দূরত্ব মানবেন। তারাই মানেন না। তবে আমরা চেষ্টা করি সবাইকে সচেতন করতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যক্রম চালাতে।

ফুটপাত ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক নেই। ক্রেতা ও বিক্রেতা একে অন্যের গায়ের সঙ্গে গা ঘেঁষে কাপড়, জুতা, টি-শার্টসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য বেচাকেনা করছেন। স্বাভাবিক সময়ের মতোই কেনাকাটা চলছে।

থ্রিপিস বিক্রেতা মজনু আলম বলেন, আমরা যারা বিক্রেতা, তারা চেষ্টা করছি দূরত্ব বজায় রাখতে। কিন্তু ক্রেতার চাপে তা রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।

নিউ মার্কেটে আসা হাফিজুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে লকডাউন দেওয়ায় সব মার্কেট বন্ধ ছিল। তখন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলো কেনা হয়নি। এখন সুযোগ পেয়ে করোনার ঝুঁকির মধ্যেও ঘরের জরুরি জিনিসপত্র কিনতে বাজারে এসেছি।

আর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট (দক্ষিণ) বণিক মালিক সমিতির সভাপতি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধের ফলে প্রয়োজনের তাগিদেই এখন মানুষ আসছে। আমরা সবসময়ই ব্যবসায়ীদের সচেতন করছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে পণ্য বিক্রয়ের জন্য। যারা মানছেন না তাদের জন্য কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে এবং আমরা সচেতনভাবে ব্যবসা করতে চাই।

More News...

মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের র‌্যালি ও সমাবেশ

কোন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল?