বাংলাবাজার ফেরিঘাটে স্পিডবোট ও ট্রলারের পাখা খুলে নিল প্রশাসন

বাংলাবাজার ফেরিঘাটে স্পিডবোট ও ট্রলারের পাখা খুলে নিল প্রশাসন

মাদারীপুর প্রতিনিধি : সামনে ঈদ। তাই ঘরমুখী যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ৫০টি স্পিডবোট ও ৩৫টি ট্রলারের ইঞ্জিনের পাখা খুলে নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে শিবচর উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্পিডবোট ও ট্রলারগুলোর ইঞ্জিনের পাখা খুলে নেয়।

প্রশাসন বলছে, অবৈধভাবে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঈদ মৌসুমে যাতে স্পিডবোট ও ট্রলার যাত্রী বহন না করতে পারে, সে জন্যই প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শিবচর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানায়, চলমান লকডাউনে সরকারি নিষেধ অমান্য করে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে কোনো স্পিডবোট, ট্রলার ও লঞ্চ চলাচল করতে পারবে না। লঞ্চ চলাচল লকডাউনের পুরো সময়ে বন্ধ থাকলেও ঘাটের বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল করে আসছে। গত সোমবার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলা একটি স্পিডবোট দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে ২৬ জন যাত্রী প্রাণ হারান। এরপরই কঠোর অবস্থানে চলে আসে প্রশাসন।

আজকের অভিযান বিষয়ে বলা হয়, ঈদ মৌসুমে এই নৌপথে যাত্রীদের প্রচুর ভিড় থাকে। এ সময় কোনো যাত্রী যেন স্পিডবোট না উঠতে পারে, পাশাপাশি যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাবাজার ঘাটে থাকা ৫০টি স্পিডবোট ও ৩৫টি ট্রলারের পাখা (প্রপেলার) খুলে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। এ সময় শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন, বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সরকারের নির্দেশনায় স্পিডবোট, ট্রলার চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার কথা থাকলেও মাঝেমধ্যেই প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল করে। এখন থেকে আর এসব নৌযান চলতে পারবে না। ভবিষ্যতে প্রতিটি স্পিডবোটে লাইসেন্সসহ নির্ধারিত আসন তৈরি করে যাত্রী পারাপার করতে হবে। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া চালকদের তিন মাস অন্তর ডোপ টেস্ট করা হবে। মাদকাসক্ত এবং ১৮ বছরের নিচে কাউকে কোনো অবস্থাতেই চালক হিসেবে রাখা যাবে না।’

More News...

১৭৩ জন বাংলাদেশী মিয়ানমার কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন

বিড়ির শুল্ক প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে পাবনায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান