ত্বকে হঠাৎ কালো দাগ, জটিল রোগের লক্ষণ নয় তো?

ত্বকে হঠাৎ কালো দাগ, জটিল রোগের লক্ষণ নয় তো?

আপনার ত্বকের কোনো অংশ হঠাৎ কালো হয়ে যাওয়া সব সময় ভালো লক্ষণ নয়। অনেক গভীরে অনেক জটিল রোগের কারণে ত্বক কালো হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কী, তা আজ আমরা জানব একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে।

এনটিভির নিয়মিত এক স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠানে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন ডা. সাকলায়েন রাসেল। তিনি বলেন, হঠাৎ করে আপনার হাত বা পা কালো হয়ে যেতে পারে। আমরা যদি এর কারণটা খুঁজতে যাই, আমরা প্রায় সময় যে কারণগুলো পেয়ে থাকি, সেটি হচ্ছে যে হাতের কিংবা পায়ের রক্তনালি বন্ধ হয়ে যাওয়া। এই রক্তনালী কী কারণে আসলে বন্ধ হয়ে যায়। বিশেষ করে যাদের হার্টের ভালভের প্রবলেম আছে, অথবা কারও দীর্ঘদিন ধরে হয়তো বা হাত-পায়ের রক্তনালীগুলো আস্তে আস্তে বন্ধ হচ্ছে। হঠাৎ করে সেই রক্তনালীটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তখন যে জায়গাটি বন্ধ হয়ে গেছে, তার পরবর্তী অংশটি বা নিম্ন অংশটি হঠাৎ করে কালো হয়ে যেতে পারে। এবং এই কালো হওয়া হচ্ছে পচন শুরুর প্রাথমিক অবস্থা। এবং এই রোগীকে যদি ছয় থেকে আট ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা দেওয়া না হয়, তাহলে কিন্তু তার পায়ে পচন ধরে যেতে পারে। এমনকি আক্রান্ত ওই পা কেটে ফেলে দিতে হতে পারে।

ডা. সাকলায়েন রাসেল বলেন, আরেকটি বিষয় আপনাদের মনে রাখা উচিত, যাদের অনেক সময়… আমাদের যে গলা আছে, গলায় একটি বাড়তি হাড় থাকতে পারে। এটিকে সারভাইক্যাল রিব বলি আমরা, অথবা তীব্র কোনো ঠাণ্ডা পরিবেশে গেলে অনেকের আঙুলও কালো হয়ে যেতে পারে। অতএব, আপনার হাত বা পায়ের আঙুল অথবা হাত-পায়ের কোনো একটি অংশ হঠাৎ করে যদি কালো হতে থাকে, তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি যে, হ্যাঁ, আপনার রক্তনালীটি হয়তো বন্ধ হয়ে গেছে অথবা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ব্যথানাশক ওষুধ না খেয়ে এক্সরে বা এমআরআই, এ জাতীয় পরীক্ষা করে সময় নষ্ট না করে আপনার উচিত হবে দ্রুত একজন ভাসকুলার সার্জনকে দেখানো।

ডা. সাকলায়েন রাসেলের পরামর্শ, আপনারা জানেন যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে স্বতন্ত্র ভাসকুলার সার্জারি বিভাগ আছে। এখানে এ জাতীয় চিকিৎসকদের আপনারা পাওয়ার সুযোগ পাবেন। তাঁদের শরণাপন্ন হলে আশা করা যায় যে আপনার এই হাত বা পা-টিকে আমরা বিপদ থেকে অর্থাৎ কেটে ফেলার হাত থেকে রক্ষা করতে পারব।

More News...

হার্ট অকেজো হওয়ার কারণ জানলে অবাক হবেন –

চার বছরে যক্ষ্মামুক্ত ৭ হাজার রোগী