ভালো থাকুন কবরী আপা: শাকিব খান

ভালো থাকুন কবরী আপা: শাকিব খান

বিনোদন প্রতিবেদক : কিংবদন্তি অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরীর মৃত্যুতে শোক জানালেন শাকিব খান। তিনি বলেন, পর্দার মিষ্টি মেয়ে হিসেবে খ্যাতি পেলেও ব্যক্তি জীবনে কবরী আপা ছিলেন অত্যন্ত ব্যক্তিত্ববান একজন মানুষ।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩ দিনের মাথায় শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ২০মিনিটে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কবরী। সে রাতেই নিজের ভ্যারিফায়েড ফেইসবুক পেজে অভিনেত্রী-নির্মাতার স্মৃতিচারণ করেন শাকিব।

তিনি লেখেন, “চলচ্চিত্রের যারা পথপ্রদর্শক তারা একে একে চলে যাচ্ছেন। সেই পথে পাড়ি দিলেন আমাদের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী আপা। তিনি আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।”

“চলচ্চিত্রের প্রাজ্ঞজনের একজন ছিলেন কবরী আপা। তিনি সোনালি অতীতে সমুজ্জ্বল সাক্ষী ছিলেন। সুতরাং, হীরামন, ময়নামতি, চোরাবালি, পারুলের সংসার, বিনিময়, আগন্তুক, সুজন সখী, তিতাস একটি নদীর নাম, সারেং বউ, নীল আকাশের নিচেসহ অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের নায়িকা ছিলেন কবরী আপা।”

শাকিব বলেন, “অভিনেত্রী পরিচয়ের বাইরে পরিচালনাতেও সুনাম অর্জন করেছিলেন তিনি। পর্দার মিষ্টি মেয়ে হিসেবে খ্যাতি পেলেও ব্যক্তি জীবনে কবরী আপা ছিলেন অত্যন্ত ব্যক্তিত্ববান একজন মানুষ।”

”কিংবদন্তি এই মানুষটির সাথে আমার অসংখ্য স্মৃতি। যখনই দেখা হতো আমাকে স্নেহ করতেন। তার সময়কার বিভিন্ন স্মৃতি শেয়ার করতেন। কবরী আপার মৃত্যুতে প্রিয় অভিনেত্রী হারানোর পাশাপাশি একজন অভিভাবক হারানোর শোক অনুভব করছি। যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন কবরী আপা।”

১৯৫০ সালের ১৯ জুলাই চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জন্মগ্রহণ করেন কবরী। তার পারিবারিক নাম ছিল মিনা পাল। বাবা শ্রীকৃষ্ণ দাস পাল ও মা লাবণ্য প্রভা পাল। ১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে উঠেছিলেন তিনি।

১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় কবরীর। তার অন্যান্য জনপ্রিয় ছবির মধ্যে রয়েছে জলছবি, বাহানা, সাত ভাই চম্পা, আবির্ভাব, বাঁশরি, যে আগুনে পুড়ি, দীপ নেভে নাই, দর্পচূর্ণ, ক খ গ ঘ ঙ, বিনিময়, সুজন সখী, আগন্তুক, নীল আকাশের নীচে, ময়নামতি, সারেং বৌ, দেবদাস, হীরামন, চোরাবালি, পারুলের সংসার, আরাধনা, দুই জীবন ও তিতাস একটি নদীর নাম।

৫ দশকের বেশি সময় চলচ্চিত্রে রাজ্জাক, ফারুক, সোহেল রানা, উজ্জ্বল, জাফর ইকবাল ও বুলবুল আহমেদের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। ঢাকার চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি ছিলেন রাজ্জাক-কবরী। ফারুক ও বুলবুল আহমেদের সঙ্গেও তার জুটি জনপ্রিয়তা পায়।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-সহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন কবরী।

More News...

‘সোনার চর’ হাউসফুল, উচ্ছ্বসিত জায়েদ খান

‘রাজকুমার’র দর্শক সাড়ায় আমি অভিভূত : আরশাদ আদনান