নিজস্ব প্রতিবেদক : পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে বাধা নেই। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্টিত হবে।
নির্বাচনের ভোটার তালিকা সংশোধনের নির্দেশ সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন চেস্বার আদালত।
রোববার (১৮ জুন) এক মেয়র প্রার্থীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এই আদেশ দেন।
দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এই আদেশের ফলে যথাসময়ে ভান্ডারিয়া পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এমকে রহমান।
তিনি বলেন, নির্বানের তফসিল ঘোষণার পর ভোটার তালিকা চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করার সুযোগ আইনে নেই। কিন্তু রিটকারী আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ভোটার তালিকা সংশোধনের আদেশ দিয়ে নির্বাচনের তফসিল স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এই আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে আবেদন করি। আদালত হাইকোর্টের আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে দেন। ফলে যথাসময়ে ভান্ডারিয়া পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে আইনগত কোনো বাধা নাই।
গত ৩১ মে ভান্ডারিয়া পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। সেই তফসিল চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একের পর এক রিট মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে তিনটি মামলায় নির্বাচন আয়োজনের ওপর কোনো স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি। তবে আরেকটি রিট মামলায় ভোটার তালিকা ২৮ দিনের মধ্যে সংশোধনের আদেশ দিয়ে নির্বাচনের তফসিল স্থগিত করে দেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মাহবুব উল ইসলামের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ। আব্দুল হালিম হাওলাদারের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ জুন এই আদেশ দেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের এই আদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী মাহিবুল হোসেন।
তার পক্ষে শুনানিতে অ্যাডভোকেট এমকে রহমান বলেন, হালিম হাওলাদারের ভাই মাসুম হাওলাদার ভোটার তালিকা সংশোধনের নির্দেশনা চেয়ে রিট মামলা করেছিলেন। কিন্তু হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ সেই মামলায় নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো ধরনের স্থগিতাদেশ দেননি। তবে হালিম হাওলাদের মামলায় হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ নির্বাচন আয়োজনের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। কিন্তু ভোটার তালিকা আইন-২০০৯ এর ১৪ ধারা ও ভোটার তালিকা বিধিমালা-২০১২ এর ২৬ বিধি অনুযায়ী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ভোটার তালিকা সংশোধন বা নির্বাচন চ্যালেঞ্জ করে মামলা করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু এ ধরনের মামলা করে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। তাই হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করার প্রার্থনা করছি।
শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে দেন।
