নিজস্ব প্রতিবেদক : গুলিস্তানে ভবন বিস্ফোরণের ঘটনায় স্বজনহারাদের প্রতি সহানুভূতি না জানিয়ে দেশে আনন্দ-ফুর্তি চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
তিনি বলেন, রাজধানীর সিদ্দিক বাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় দেশের মানুষ শোকাহত। যারা স্বজন হারিয়েছে তাদের আহাজারি চলছে। দেশের একদিকে আহাজারি, অন্যদিকে আনন্দ ফুর্তি। যখন হাসপাতালের বেডে দগ্ধ মানুষ অসহনীয় কষ্টে কাতরাচ্ছে, তখন রাজনৈতিক নেতারা এটা নিয়ে একে-অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপের রাজনীতি শুরু করছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় মাহলা পার্টি আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
দুর্ঘটনা ঘটলেই দোষারোপের রাজনীতি শুরু হয় উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, সরকারি দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিরোধী পক্ষ আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতা করছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি নাশকতা হয়েই থাকে, তাহলে সরকার নাশকতা ঠেকাতে পুরোপুরি ব্যর্থ। নাশকতা ঠেকাতে যারা ব্যর্থ হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা হলে স্বজনহারাদের প্রতি সহানুভূতি জানানো যেতো। এখন ব্যর্থতা ঘোচাতে অপরকে দোষারোপ করা হচ্ছে।
নিহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানান জিএম কাদের। তিনি বলেন, যারা ভয়াবহ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে না। যাদের ব্যর্থতা, অবহেলা, দায়িত্বহীনতা এবং দুর্নীতির কারণে এমন ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। একটি দুর্ঘটনা ঘটলে তা থেকে শিক্ষা নিতে হয়, যাতে এমন দুর্ঘটনা আর না ঘটে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, কিন্তু তদন্ত রিপোর্ট কেউ জানে না। তদন্ত কমিটি কী সুপারিশ করলো কেউ জানে না। কে দায়ী? বা দায়ীর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা কেউ জানতে পারে না। এখন সব কিছুতেই গলদ।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরীফা কাদের প্রমুখ।
