বিমানবন্দরে আন্ডারপাস: নকশা দেখে প্রধানমন্ত্রীর সন্তোষ

বিমানবন্দরে আন্ডারপাস: নকশা দেখে প্রধানমন্ত্রীর সন্তোষ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় নির্মাণ করা হবে আন্ডারপাস। বিমানবন্দরের ৩টি টার্মিনাল, বিআরটি (বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট) ও মেট্রোরেল স্টেশন এবং আশকোনা হাজী ক্যাম্পকে সংযুক্ত করে নির্মাণ করা হবে এই আন্ডারপাস। আন্ডারপাসের ডিজাইন দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পথচারী আন্ডারপাস প্রকল্প’ বিষয়ক একটি উপস্থাপনা দেখেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি বলেন, খুব সুন্দর হয়েছে। যা যা চাচ্ছিলাম তার সবকিছু এখানে আছে।

প্রকল্পের উপস্থাপনা দেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা খুবই সুন্দর হয়েছে। এটা হলে একটা ল্যান্ডমার্ক জিনিস ঘটবে। ওই এলাকায় যানজট ও দুর্ঘটনাও কমে আসবে। মানুষ রেলে এসে স্টেশনে নেমেই বিমানে উঠতে পারবে, পরিবেশও ভালো হবে। মানুষ যাতে সহজে এবং সুন্দরভাবে সেবা পায় সেটি মাথায় রেখে সব থেকে ইউনিক, সুন্দর এবং টেকসই হতে হবে এই প্রকল্পটি।

প্রায় এক হাজার ১৮৩ দশমিক ৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এক হাজার ৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের আন্ডারপাস নির্মাণ করা হবে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এই আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরের ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগ্রেড।

আন্ডারপাসে চলন্ত সিড়ি, লিফটের পাশাপাশি থাকবে বিমানবন্দরের মতো বাগি কার। এতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি প্রাকৃতিক আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকবে। কোনো কারণে বিদ্যুৎ বিঘ্নিত হওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে প্রাকৃতিক অক্সিজেন প্রবাহের জন্য ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থাও থাকবে। আন্ডারপাসে প্রবেশ ও বের হতে আটটি পথ থাকবে। একই সঙ্গে এখানে থাকবে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও। প্রায় দেড় লাখ লিটার পানি রিজার্ভ রাখা হবে।

এছাড়াও আন্ডারপাস টানেলে ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে।

More News...

মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের র‌্যালি ও সমাবেশ

র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র হলেন কমান্ডার আরাফাত