সাকিব-তামিমরা যেন সম্মানের সঙ্গে মাঠ থেকে অবসর নিতে পারে: মাশরাফি

সাকিব-তামিমরা যেন সম্মানের সঙ্গে মাঠ থেকে অবসর নিতে পারে: মাশরাফি

স্পোর্টস ডেস্ক : এই সেদিন (২৩ জানুয়ারি) তারই খুব কাছের বন্ধু ও বর্তমান নির্বাচক কমিটির অন্যতম সদস্য আব্দুর রাজ্জাক জানিয়ে দিলেন, বোর্ড চাইলে নির্বাচকরা মাশরাফিকে সম্মানের সঙ্গে বিদায় জানাতে প্রস্তুত। মাশরাফিকে বিদায়ের মঞ্চ তৈরির ব্যাপারে ইতিবাচক মানসিকতার পরিচয় দিয়ে নির্বাচক রাজ্জাক বলেন, আমরা চাই প্রতিটি ক্রিকেটার সম্মানের সঙ্গে মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার সুযোগটা যাতে পায়।
নির্বাচকদের অমন কথার পরিপ্রেক্ষিতে মাশরাফি কী বলেন? সবার জানা, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব ছাড়লেও এখনও অবসরের ঘোষণা দেননি মাশরাফি।দেবেন কেীভাবে? সে মঞ্চটা তিনি পাননি। জাতীয় দলের নেতৃত্ব ছাড়ার পরও খেলা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল তার। কিন্তু ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর কোনো ফরম্যাটেই আর জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ মেলেনি। বোর্ড থেকেও তাকে এমন কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি যে, তিনি ঘোষণা দিয়ে অবসরে যেতে পারেন।
তাই জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়ে মনোকষ্ট, অভিমান ও চাপা ক্ষোভ আছে মাশরাফির। নির্বাচক রাজ্জাকের কথায় কি সে ক্ষোভ ঝেড়ে মুছে যাবে? দেশসেরা অধিনায়কও কি আনুষ্ঠানিক অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দেবেন? নাকি অভিমানটা পুষেই রাখবেন? তা জানতে কৌতূহল ছিল অনেকেরই।
অবশেষে মাশরাফি নিজেই সে কৌতূহল দমন করলেন। বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে এসে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে মাশরাফি অবসর নিয়ে তার নিজের ভাবনার কথা জানিয়ে দিলেন।
তবে সেখানে আনুষ্ঠানিক অবসরের ইচ্ছে পোষণ করে কোনো বক্তব্য নেই। কৌশলে বলেছেন, কিংবদন্তিতুল্য ক্রিকেটারদের সম্মানের সঙ্গে বিদায় জানানোর সংস্কৃতিটা তৈরি করা উচিত।মাশরাফির কথা, ‘আমি নিজেরটা বলতে পারব না, কারণ অনেকদিন আগেই ছেড়ে এসেছি। আমার কোনো প্রত্যাশা নেই। আমি নিজেও বিশ্বাস করি না আমার ক্ষেত্রে। আমার আসলে এসব নিয়ে রাগ-ক্ষোভ কিছুই না। আমার কোনো ক্ষোভ নেই। কেবল বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা আছে।সাকিব, তামিম, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর মতো বড় ক্রিকেটাররা যেন সম্মানের সঙ্গে মাঠ থেকে বিদায় নিতে পারেন, সেটি এখন মন থেকে চান মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই ক্রিকেটারদের সম্মানের সঙ্গে মাঠ থেকে অবসরে যাওয়ার সংস্কৃতিতে যাওয়া উচিত আমাদের। ওই সংস্কৃতি সেটআপ করা দরকার।’‘কেউ স্বীকার করুক বা না করুক- সাকিব, মুশফিক, রিয়াদ, তামিম তারা বাংলাদেশের কিংবদন্তি। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাদের ক্ষেত্রে যেন ওই সুযোগ বাংলাদেশের মানুষ পায়, তারা যেন ওই সম্মানটা নিয়ে মাঠ থেকে বিদায় নিতে পারে, সে কাজটা নিশ্চিত করা খুব জরুরি।’
মাশরাফি যোগ করেন, ‘মানুষ তো হিসাব করে কত টাকা পেলো। কিন্তু তারা যে শ্রম দিয়েছে, দিনের পর দিন ত্যাগ করেছে, এটা কেউ জানে না। ওই সম্মানটা যেন তারা পায়, সে সুযোগ ও মঞ্চ তৈরি করে দেওয়া খুব দরকার। তাতে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানবে, বুঝবে যে দীর্ঘদিন জাতীয় দলে খেলার পর সন্মান পাওয়া যায়। যারা মধ্য বয়সে আছে, তরুণ আছে, তাদের যেন বিশ্বাসটা আসে, আমাদের দেশ থেকে এতটুকু সম্মান নিয়ে যেতে পারবো।’

More News...

মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের র‌্যালি ও সমাবেশ

কোন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল?