সম্প্রতি স্থানীয় একটি টিভি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন সোরোট। শুনিয়েছেন আট স্ত্রীকে নিয়ে তার সংসারের গল্প। অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হওয়ার পর যুবকের কথা শুনে অবাক হয়েছেন অনেকেই। যেখানে দুই স্ত্রীকে নিয়ে এক বাড়িতে থাকা দুষ্কর, সেখানে আটজনকে রাজি করালেন কী করে? আর বিয়েই বা হলো কীভাবে?
তৃতীয় স্ত্রী নাং নেনের সঙ্গে আলাপ হয় হাসপাতালে। চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্ত্রীর সঙ্গে সোরোটের পরিচয় যথাক্রমে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকে। সপ্তম স্ত্রী নাং ফিল্মের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল মায়ের সঙ্গে এক মন্দিরে গিয়ে। অষ্টম জনের বিষয়টি আরও অদ্ভুত। পাতায়ায় ছুটি কাটাতে গিয়ে আলাপ হয় অষ্টম স্ত্রী নাং মেইয়ের সঙ্গে। অথচ সেই সেসময় চার স্ত্রী সোরোটের সঙ্গেই ছিলেন।
স্ত্রীরাও স্বামীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তারা একবাক্যে মেনে নিয়েছেন, সোরোট খুবই দায়িত্ববান পুরুষ। তিনি সবার যত্ন নেন।
সোরোটের প্রথম স্ত্রীর গর্ভে এরই মধ্যে এক পুত্র সন্তান জন্ম নিয়েছে। আরও দুই স্ত্রী শিগগির সন্তান প্রসবের অপেক্ষায় রয়েছেন।
থাই যুবক জানান, তার আট স্ত্রী চারটি ঘরে ঘুমান। আলাদাভাবে স্বামীর সঙ্গ পেতে ক্রমানুসারে তাদের অপেক্ষা করতে হয়। তবে এ নিয়ে কারো কোনো অভিযোগ নেই বলে দাবি করেছেন সোরোট।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এক বিবাহিত যুবককে বিয়ে করতে নারীদের এত উৎসাহ কেন? অনেকে বলছেন, ভালোবেসে নয়, সম্পত্তির লোভেই আট নারী এক স্বামীর সংসার মেনে নিয়েছেন।
তবে সোরোট সে দাবি মানেন না। তার কথায়, পরিবারে সবারই আলাদা আলাদা দায়িত্ব রয়েছে। আর আমার স্ত্রীরা খাবার থেকে শুরু করে প্রসাধনী, হস্তনির্মিত জিনিসপত্র বিক্রি বা টুকিটাকি কাজ করে নিজেরাই অর্থ আয় করেন।