শেয়ারবাজারে বড় উত্থান, এক ডজন কোম্পানির বিক্রেতা উধাও

শেয়ারবাজারে বড় উত্থান, এক ডজন কোম্পানির বিক্রেতা উধাও
নিজস্ব প্রতিবেদক : এক কার্যদিবস দরপতনের পর সোমবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।

সূচক ও লেনদেনের পাশাপাশি দুই বাজারেই লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে প্রায় এক ডজন কোম্পানির শেয়ার দিনের দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে। এমনকি একপর্যায়ে এই কোম্পানিগুলোর শেয়ারের বিক্রেতাও উধাও হয়ে যায়।

এ পরিস্থিতিতে সোমবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হতেই প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৩০ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

তবে অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি বদলে যায়। একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ১০ পয়েন্ট কমে যায়। এতে আবারও দরপতনের শঙ্কা পেয়ে বসে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। অবশ্য বেলা ১১টার পর থেকে আবার বদলাতে থাকে চিত্র। পতনের তালিকা থেকে বেরিয়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। যা অব্যাহত থাকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত।

এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৯৯৪ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৬০৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়লেও ১১টি কোম্পানি বড় দাপট দেখায়। এই ১১ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স, রংপুর ফাউন্ড্রি, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ইনফরমেশন সার্ভিসেস, বসুন্ধরা পেপার, কপারটেক, ইস্টার্ন হাউজিং, একমি পেস্টিসাইড, পাওয়ার গ্রিড ও তিতাস গ্যাস।

এই ১১ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম দিনের লেনদেন শুরুর অল্প কয়েক মিনিটের মধ্যে সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে যায় এবং লেনদেনের শেষ পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে। ফলে লেনদেনের প্রায় সম্পূর্ণ সময় ধরেই এই কোম্পানিগুলোর বিক্রয় আদেশের ঘর শূন্য পড়ে থাকে।

এদিকে সূচকের বড় উত্থানের বাজারে ডিএসইতে টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে পাওয়ার গ্রিডের শেয়ার। কোম্পানিটির ১০১ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ৯৪ কোটি ২৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৬৫ কোটি ৫৮ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস, ফরচুন সুজ, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, তিতাস গ্যাস, জিপিএইচ ইস্পাত ও সাইফ পাওয়ার।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৬৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩০৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২৭টির ও ৩৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

More News...

কৃষকদের টাকা দিলে ফেরত দেয়, কোটিপতিরা দেয় না’

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের দুর্নীতি মামলা: স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক এমডির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা