তিনি বলেন, পত্রিকায় দেখলাম সাত-আটটা পিওন পদের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। সেখানে কয়েক হাজার আবেদন করা হয়েছে। তার মধ্যে অসংখ্য এমএ পাস আছে। এটাই হলো শেখ হাসিনার উন্নয়ন। মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার কি আমরা চিবিয়ে খাবো?
রিজভী বলেন, আমরা এমন এক সমাজে বাস করি যখন ডানে-বামে সবসময় তাকাতে হয় কেউ আমাকে অনুসরণ করছে কি-না। এক প্রচণ্ড ভয় এবং শঙ্কার মধ্যে আমাদের দিনরাত যখন অতিবাহিত হয় তখন এই তরুণরা ফ্যাসিবাদ, নাৎসিবাদ, পৃথিবীর সমস্ত আইনকে কড়ায়ত্ত করে জনগণের ওপর যারা ভয়ংকর অত্যাচার চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে এই অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা যে অস্ত্র হানে এটা নিঃসন্দেহে গোটা জাতিকে প্রেরণা দেয় এবং আমরাও অনুপ্রাণিত হই।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি জানেন আজ যে সন্তানটি জন্মলাভ করছে ৯৮ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে সে জন্মলাভ করছে। আর আপনি উন্নয়নের কথা বলেন। এটা যে ঋণের মাইলফলক হবে, বন্দুকযুদ্ধের মাইলফলক হবে, গুমের মাইলফলক হবে এটা অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের কতজন গুমের শিকার হবে তা বলা মুশকিল।
সংগঠনের আহ্বায়ক ও কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও অংশ নেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আমিরুজ্জামান শিমুল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এহমল হোসেন পাইলট, হায়দার আলী লেলিন প্রমুখ।