শারীরিক সম্পর্কে অনীহা, কেন জানেন?

শারীরিক সম্পর্কে অনীহা, কেন জানেন?

অনলাইন ডেস্ক : পরপর কয়েকটা রাতে শারীরিক মিলন ভালো লাগে না এমনটা সব দম্পতির ক্ষেত্রেই হতে পারে। কিন্তু এর প্রতি অনীহা যদি বেশি দিনের জন্য হয় তাহলে খুবই সমস্যার বিষয়। এর ফলে আপনার এবং আপনার পার্টনারের মধ্যে টেনশন দেখা দিতে পারে। নষ্ট হতে পারে দাম্পত্য জীবন। অনেক সময় সামান্য জিনিসের কারণে আপনার স্বাভাবিক যৌনতা কমে যেতে পারে। সেগুলো কী দেখে নেওয়া যাক-

১. স্ট্রেস : স্ট্রেসের মধ্যে থাকলে অনেক কাজের মতোই বিছানাতেও আপনি ভালো ফল পাবেন না। স্ট্রেস ঘরে‚ বাইরে‚ অফিসে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কারণে হতে পারে। তবে এই স্ট্রেস কী করে কমানো যাবে তার উত্তর কিন্তু আপনাকেই খুঁজতে হবে। আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজেরাই স্ট্রেসের মোকাবিলা করতে পারি। তবে যদি নিজের দ্বারা তা না হয় তাহলে ডাক্তারের কাছে যেতে লজ্জা পাবেন না যেন।

২. পার্টনার প্রবলেম : পার্টনারের সঙ্গে সমস্যার ফলে কিন্তু আপনার যৌন জীবন পুরোটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পুরুষ এবং নারীরা দুজনেই তাই নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক রাখুন। ঝগড়া‚ নিজেকে ঠিকভাবে প্রকাশ না করা‚ বিশ্বাসঘাতকতা এসবের থেকে যতটা পারবেন দূরে থাকুন। অনেক সময় মনোবিদের সাহায্য নিয়েও এসব সমস্যা থেকে বেরোনো যায়।

৩. মদ : অনেকে মনে করেন ড্রিঙ্কের পর হয়তো মিলনের ইচ্ছা বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু বেশি মদ্যপান করলে আপনার যৌনতা অসাড় হয়ে যেতে পারে। বা অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় একজন মদ্যপান করেন‚ কিন্তু তার পার্টনার মদ্যপান করেন না‚ ফলে অন্যজনের জন্য এটা কিন্তু খুব বড় টার্নঅফ হতে পারে। তাই মদ্যপান ত্যাগ করুন।

৪. কম ঘুমানো : সেক্স ড্রাইভ কমে যাওয়ার আরও একটা বড় কারণ হলো অপর্যাপ্ত ঘুম । রাতে অন্তত ৬-৮ ঘণ্টা গাঢ় ঘুম দরকার হয় আমাদের শরীরের। রাতে যদি ঘুম আসতে সমস্যা হয় এবং খুব ভোরে ঘুম ভেঙে যায় তাহলে সময় নষ্ট না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

৫. সন্তান : না‚ না‚ একেবারেই ভাববেন না যে সন্তানের জন্ম দিলে আপনার সেক্স ড্রাইভ কমে যাবে। তবে এটা মোটামুটি সবাই মেনে নেবেন যে সন্তান জন্মানোর পর একে অপরকে আগের মতো আর সময় দিতে পারেন না। তাই পারলে একজন বেবি সিটার বা বাড়ির অন্য কোনো মেম্বার তার কাছে কিছুক্ষণের জন্য বাচ্চাকে রেখে নিজেদের মতো সময় কাটান।

৬. ওষুধ : বেশ কিছু ওষুধ আছে যা সেক্স ড্রাইভ কমিয়ে দিতে পারে। যেমন : অ্যান্টিডিপ্রেশেনটস, ব্লাড প্রেসারের ওষুধ, বার্থ কন্ট্রোল পিলস, কেমোথেরাপি ইত্যাদি।

৭. পুওর বডি ইমেজ : আপনার যদি নিজের লুক পছন্দ হয় তাহলে সহজেই নিজেকে আকর্ষণীয় মনে হবে। তাই নিজের শরীরকে ভালোবাসতে শিখুন। কখনো আপনার পার্টনারের শরীর‚ স্বাস্থ্য নিয়ে কোনোদিন মজা‚ ঠাট্টা বা তিরষ্কার করবেন না।

৮. ওবেসিটি : আপনি যদি ওভার ওয়েট হন তাহলে সেক্স ড্রাইভ কমে যেতে পারে। এছাড়া এনজয়ও করবেন না। বা ঠিকমতো পারফর্মও করতে পারবেন না। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

৯. ইরেকশন প্রবলেম : যে পুরুষের ইরেকটাইল ডিসফাংশন আছে তাদের সেক্স লাইফে প্রভাব পড়বে। তবে এটা সহজেই চিকিৎসা করে ঠিক করে নেওয়া যায়।

১০. লো টেস্টোস্টরেন : এই হরমোনের ফলে মিলনের ইচ্ছা জাগে। পুরুষদের যত বয়স বাড়ে এই হরমোনের লেভেল তত কমতে থাকে এবং মিলনের ইচ্ছা হারিয়ে যায়।

১১. ডিপ্রেশন : ডিপ্রেশন হলে মিলনের ইচ্ছা কমে যায়। তাই যতটা পারবেন হাসি-খুশি থাকার চেষ্টা করুন‚ অহেতুক বিষণ্ণতায় ভুগবেন না। যারা ডিপ্রেশন কমানোর ওষুধ খান তাদের ওই ওষুধের ফলে সেক্স ড্রাইভ কমে যেতে পারে‚ তারা অবশ্যই ডাক্তারকে এই কথা জানান।

১২. মেনোপোজ : নারীদের যখন মেনোপোজের সময় হয়ে আসে তখন সেক্স ড্রাইভও কমে যায়। তবে মেনোপোজের পরেও দারুণভাবে যৌন জীবন উপভোগ করা যায়। তার জন্য দরকার সুস্থ শরীর‚ আত্মবিশ্বাস এবং পার্টনারের সঙ্গে সম্পর্ক।

More News...

খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা কেন জরুরি?

হার্ট অকেজো হওয়ার কারণ জানলে অবাক হবেন –