ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক, দেশবরেণ্য গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একুশে পদকপ্রাপ্ত এই শিল্পীর মৃত্যুতে প্রেস উইং, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো শোক বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ দেশের সংগীতাঙ্গনে বিশেষ করে গণসংগীতকে জনপ্রিয় করে তুলতে তার ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে পরলোক গমন করেন গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর। তার আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তার হার্ট অ্যাটাক হয় বলে দেশ রূপান্তরকে জানিয়েছেন তার ছেলে মাশুক আলমগীর রাজিব। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

ষাটের দশক থেকে গণসংগীতের সঙ্গে যুক্ত ফকির আলমগীর। ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী ও গণ শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে। স্বাধীনতার পর পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে দেশজ সুরের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাংলা পপ গানের বিকাশে ভূমিকা রাখেন ৭১ বছর বয়সী এ শিল্পী। সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সরকার ১৯৯৯ সালে ফকির আলমগীরকে একুশে পদক দেয়।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তার কণ্ঠের বেশ কয়েকটি গান দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। এর মধ্যে ‘ও সখিনা’ গানটি এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। ১৯৮২ সালের বিটিভির আনন্দমেলা অনুষ্ঠানে গানটি প্রচারের পর দর্শকদের মাঝে সাড়া ফেলে। গানটি লিখেছেন আলতাফ আলী হাসু। কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি গানটির সুরও করেছেন ফকির আলমগীর।

ফকির আলমগীর সাংস্কৃতিক সংগঠন ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা, গণসংগীত চর্চার আরেক সংগঠন গণসংগীতশিল্পী পরিষদের সাবেক সভাপতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করা ফকির আলমগীর গানের পাশাপাশি নিয়মিত লেখালেখিও করেন। ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও বিজয়ের গান’, ‘গণসংগীতের অতীত ও বর্তমান’, ‘আমার কথা’, ‘যারা আছেন হৃদয় পটে’সহ বেশ কয়েকটি বই প্রকাশ হয়েছে তার।

 

More News...

র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র হলেন কমান্ডার আরাফাত

৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া