তবু কমল না পেঁয়াজের দাম

তবু কমল না পেঁয়াজের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন (আইপি) মেয়াদ শেষ হওয়ায় জুনের শুরু থেকেই বাজারে দাম চড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণে গত ২ জুন থেকে আইপি দেওয়া শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয়। এতে নতুন করে ভারত ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। বাজারেও সরবরাহ সংকট নেই। তবে পাইকারি ও খুচরায় দামে তেমন প্রভাব পড়েনি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামী কোরবানির আগে দামের পরিবর্তনের সম্ভাবনা ক্ষীণ।

দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৩৫ লাখ টন। এর মধ্যে বছরে অন্তত ১০ লাখ টন আমদানির মাধ্যমে পুরণ করতে হয়। তবে গত দুই বছর প্রধান আমদানিকারক দেশ ভারত পূর্বঘোষণা ছাড়া আমদানি বন্ধ করায় দেশে সরবরাহ সংকট দেখা দেয়। এতে পণ্যটির দাম হু হু করে বাড়তে থাকে। সরকার তখন আকাশ, নৌ ও সড়কপথে জরুরীভিত্তিতে পেঁয়াজ আমদানি করে। সরকার এখন ২০২৫ সালের মধ্যে পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের চিন্তা করছে। এ কারণে চাষিরা যাতে ভাল দাম পেয়ে পেঁয়াজ উৎপাদনে উৎসাহী হয় সেজন্য ভরা মৌসুমে আমদানি অনুমোদন বন্ধ রাখে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, গত মৌসুমে তাদের প্রায় ২৮ লাখ টন পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। এবার তা ৩০ লাখ টনে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

রাজধানীতে পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় পাইকারি আড়ত শ্যামবাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত রবিবার থেকে বাজারে নতুন আইপির পেঁয়াজ প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ওই দিন থেকে কেজিতে ২ টাকা কমে দেশি পেঁয়াজ ৪১-৪২ টাকা ও বার্মিজ পেঁয়াজ ৩৫-৩৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে এখন চীনের পেঁয়াজ নেই। ভারতের পেঁয়াজের পরিমাণও কম। ওই বাজারে দেশি রসুন কেজিপ্রতি ৪০-৫০ টাকা ও চায়না রসুন ১০৩-১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

শ্যামবাজার বণিক সমিতির সহসভাপতি আব্দুল মাজেদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘কোরবানির সময়ে পেঁয়াজের বড় একটা চাহিদা থাকে। তখন হয়তো দাম কিছুটা বাড়তে পারে। এর আগে তেমন সম্ভাবনা নেই। তারপরও কাঁচামালের বিষয়ে তো কিছু নির্দিষ্ট করে বলা যায় না।’

রসুনের বাজারের বিষয়েও একই মত দেন তিনি।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজিপ্রতি দেশি পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। বাজারভেদে দামের পার্থক্য থাকলেও দেশি ভালো মানের পেঁয়াজের ক্ষেত্রে কেজিতে ৬০ টাকা গুণতে হচ্ছে ক্রেতাকে।

পাইকারিতে দাম কিছুটা কমলেও খুচরায় না কমার কারণ হিসেবে খুচরা ব্যবসায়ীরা বৃষ্টিকে দুষছেন। তারা বলছেন, বৃষ্টিতে বাতাস স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে যায়। এতে পেঁয়াজে দ্রুত পচন ধরে। তাই ঘাটতি কমাতে একটু বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের।

More News...

নতুন মডেলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট নিরসন চায় আইএমএফ

বাংলাদেশ-ভারত একসঙ্গে কাজ করলে অর্থনীতি আরও এগিয়ে যাবে’