মনের মতো সঙ্গী পাওয়ার নয় উপায়

মনের মতো সঙ্গী পাওয়ার নয় উপায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক : একজন সুস্থ মনের মানুষ জীবনে নিজের পছন্দের একজন সঙ্গী কামনা করবেন এটাই স্বাভাবিক। একাকী জীবন কাটানো খুব কষ্টকর। তাইতো মানুষ সম্পর্কে জড়ায়। কিন্তু সঙ্গী মনের মতো না হওয়ায় ঘটে বিচ্ছেদ। পছন্দের সঙ্গী খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। কিন্তু অসাধ্য কিছু নয়।

মনের মতো সঙ্গী পেতে জানা প্রয়োজন কিছু নিয়ম। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ এফা ব্লোডারেক জানান, সহজ কিছু নিয়ম জানা থাকলে সঙ্গী পাওয়া সহজ হয়ে যাবে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ব্লোডারেকের দেয়া সেই কার্যকরী টিপসগুলো-

নিজের কাছে কিছু প্রশ্ন

প্রথমেই ভাবতে হবে আপনার কেন সঙ্গী নেই বা পুরনো সম্পর্ক কেন শেষ হয়ে গেলো? অতীতে কি ভুল করেছেন এবং সেখান থেকে আপনি কি শিখেছেন? আর এখন কেমন সঙ্গী চান? নিজের হৃদয়ের কাছে এসব প্রশ্ন করুন। আর এই প্রশ্নের উত্তরগুলোই নতুন সঙ্গী পেতে অনেক সাহায্য করবে।

ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলুন

আপনি নারী বা পুরুষ যেই হোন না কেন প্রথমেই প্রয়োজন নিজের প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা। নিজের ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলুন। নিজের গুণ এবং যোগ্যতা সম্পর্কে সচেতন হোন। অর্থাৎ নিজের ভেতরের ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে ভাবুন।

স্বপ্নের মানুষ

স্বপ্নের মানুষ কিন্তু আপনার দরজায় এসে ‘নক’ করবেনা। কাজেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেয়ে সবার সঙ্গে মেলামেশা করুন। আপনি সঙ্গী খুঁজছেন সেকথা মাথায় ‘না’ রেখেই সহজভাবে কথা-বার্তা বলুন। নিজের সখ বা ভালো লাগার কথাও শেয়ার করতে পারেন সবার সঙ্গে। কাছের বন্ধুদের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলতে পারেন, হয়তো তারা আপনাকে সহযোগিতা করবে।

মিডিয়ার সাহায্য

অনেকেই আজকাল ইন্টারনেটের মাধ্যমে সঙ্গী খোঁজেন, কেউ পান আবার কেউ পাননা। তাছাড়া এ সম্পর্কে নানা নেতিবাচক গল্পও শোনা যায়। এসব কথায় সেভাবে কান না দিয়ে নিজে সচেতনভাবে খোঁজখবর রাখতে পারেন। সামাজিক গণমাধ্যমে অনেকে জীবন সঙ্গী পেয়েছেন এবং সুখী হয়েছেন – এটাও কিন্তু দেখা গেছে গত কয়েক বছরে। কাজেই মন চাইলে এগিয়ে যান। কারণ যোগাযোগের জন্য কোনো মাধ্যমতো লাগবেই।

সহজ থাকুন

সঙ্গীর সঙ্গে প্রথম দেখা হলে ভয় বা নার্ভাস না হয়ে একেবারে সহজ থাকুন। প্রথমদিনই এমন কোনো প্রশ্ন করবেন না যাতে আপনার সঙ্গী বিব্রত বোধ করেন। প্রথম দেখায় কিছুটা ভালো লাগলে বরং পরে কবে দেখা হবে সেই দিন তারিখ ঠিক করে নিন। বেশি সিরিয়াস বিষয় নিয়ে কথা না বলে বরং ভ্রমণ, সিনেমা, বই, কিংবা রেস্তোরাঁর গল্প করতে পারেন। সাবধান, কোনভাবেই প্রথমদিনই অসুখ-বিসুখ, টাকা পয়সা, ধর্ম বা রাজনীতির কথা নয়!

হাসতে নেই মানা!

অনেক নারী, পুরুষই পরিচয় পর্বকে কিছুটা ‘মানসিক চাপ’ বলে মনে করেন এবং ভাবেন তাদের সঙ্গীকে মুগ্ধ করার জন্য বিশেষ কিছু দেখাতে বা করতে হবে। আসলে তেমন কিছু করার প্রয়োজনই নেই। বার্লিনের মাক্স-প্লাংক ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মুখে একটু হাসি রেখে আর আড়ষ্ট না থেকে শরীরের সহজ চালচলই যথেষ্ট।

অন্যজনকে গুরুত্ব দিন

আপনার উল্টো দিকে যিনি বসে আছেন তার প্রতি আগ্রহ দেখান, নিজে কথা বলার চেয়ে তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। এমন প্রশ্ন করুন যেন তার উত্তর শুধু হ্যাঁ বা না, না হয়। যেমন প্রশ্ন হতে পারে, আপনি অন্য শহর ছেড়ে এখানে এসেছেন কেন?

একটু সেকেলে

দিন বদলে গেছে, সময় পাল্টেছে, একথা ঠিক। তারপরও কিন্তু কে পুরুষ, আর কে নারী তা প্রথমদিন মনে রাখাই শ্রেয়। এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের ভাষা অনেকটা এরকম, ‘‘আগামী সপ্তাহে দেখা হলে কেমন হয়?’’ একথা না বলে, বলা যেতে পারে, ‘‘আজকের সন্ধ্যাটা খুব সুন্দর কাটলো, এরকম দিন রিপিট হলে আমার দিক থেকে কোনো অসুবিধা নেই।’’ অর্থাৎ এসব কথা একটু সেকেলে হলেও অসুবিধা নেই বরং এতে ভদ্রতার প্রকাশ ঘটে।

আশাবাদী

আগে থেকে যতটা খুশি বা আনন্দিত ছিলেন, দেখা বা কথা হওয়ার পর তা না হলে মন খারাপ করার কিছু নেই। আশা ছেড়ে না দিয়ে, ভালোবাসার আসল মানুষ পেতে অপেক্ষা করুন, ধৈর্য্যহারা হবেন না। কারণ হৃদয়ের জন্য ‘শেষ তারিখ’ বলে কিছু নেই। তাছাড়া হৃদয়ের ত্বকে কিন্তু বলিরেখা পড়েনা। ভালোবাসা চিরসবুজ, যেভাবে যত্ন করবেন, সেভাবেই থাকবে।

More News...

খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা কেন জরুরি?

হার্ট অকেজো হওয়ার কারণ জানলে অবাক হবেন –