নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবারও হাসপাতালেই ঈদ উদযাপন করবেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
খালেদা ঝিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের সদস্য ও বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশ রূপান্তরকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঈদের দিন আমাদের নেত্রী হাসপাতালে থাকছেন।
২০১৮ সালের ১৯ চারটি ঈদ খালেদা জিয়া কাটিয়েছেন পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগার ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যালের প্রিজন সেলে। ঈদের দিন তার সান্নিধ্য পেয়েছেন শুধু স্বজনরা।
পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দণ্ড স্থগিত করে শর্তে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি পান খালেদা জিয়া। গত বছরের দুই ঈদ ভাড়া বাড়ি ফিরোজাতে কাটালেও নেতাকর্মীরা দেখা পাননি দলীয় প্রধানের।
এর আগে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুটি ঈদ কারাগারে কাটিয়েছেন বিএনপি প্রধান।
খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা বিষয়ে ডা. জাহিদ হোসেন জানান, তার এখন অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে না। নতুন কোনো জটিলতাও তৈরি হয়নি। বিএনপি চেয়ারপারসন আগের মতোই আছেন। তার অবস্থা স্থিতিশীল।
গত ২৭ এপ্রিল থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন খালেদা জিয়া। ৩ মে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে সিসিইউতে রাখা হয়েছে।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে আবেদন করেছে। সরকারি অনুমতি পেলে তাকে যুক্তরাজ্যে পাঠানো হতে পারে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরার পর গত ১১ এপ্রিল থেকে গুলশানের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন খালেদা জিয়া। ১৪ দিন পর আবার পরীক্ষা করা হলে তখনো তার করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ আসে।
এরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৭ এপ্রিল রাতে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। চেস্টের সিটি স্ক্যান ও কয়েকটি পরীক্ষার পর সেই রাতেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে কারাগার যেতে হয়েছিলে ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে।