নিজস্ব প্রতিবেদক
এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পর খুলেছে রফতানিমুখী পোশাক কারখানা। কঠোর বিধিনিষেধের পর হঠাৎ করেই কারখানা খোলার সিদ্ধান্তে ও গণপরিবহন সংকটে রোববার (১ আগস্ট) বেশিরভাগ কারখানায় শ্রমিকের উপস্থিতি ছিল কম। তবে কারখানা সংশ্লিষ্টদের আশা দুই/একদিনের মধ্যেই কাজে যোগ দেবে বাকি শ্রমিক।
মিরপুর-১১’র ইপিলিয়ন গার্মেন্টসের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের শ্রমিকদের বেশিরভাগই রাস্তায় আটকে আছে। কেউ গাড়ি পাচ্ছে না, কেউ যানজটে আটকে আছে। যেহেতু গণপরিবহন চলাচলের সুযোগ দিয়েছে, আশা করছি সবাই চলে আসবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ৬০ শতাংশ শ্রমিক কাজে যোগ দিয়েছেন। প্রতিটি লাইনেই লোক শর্টেজ (কম) আছে।’ টিউনিক অ্যান্ড ওডিল আপিরিয়ালস লিমিটেডের এক কর্মকর্তাও তার কারখানায় কম শ্রমিক উপস্থিতির কথা জানিয়েছেন। রানা নামের ওই কর্মকর্তা জানান, ৫ আগস্টের আগে সবাই কর্মস্থলে উপস্থিত হবে। এদিকে বিভিন্ন কারখানা ঘুরে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে কারখানার বাইরে বসানো হয়েছে হাত ধোয়ার বেসিন ও কল। সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে শ্রমিকরা কারখানায় ঢুকেছেন। শরীরের তাপমাত্রা মেপে ও মাস্ক পরা নিশ্চিত করে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত এপ্রিলে বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। তবে সে সময় রফতানিমুখী পোশাকসহ অন্যান্য শিল্পকারখানায় উৎপাদন চালু ছিল। গত ২৮ জুন শুরু হওয়া সীমিত এবং ১ থেকে ১৪ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধেও পোশাকসহ অন্যান্য শিল্পকারখানা চালু ছিল। কিন্তু ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধে সব ধরনের শিল্প-কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। তখন থেকেই সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন পোশাক খাতের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দেন তারা।
তারা জানান, কারখানা বন্ধ থাকলে বিদেশে তাদের সকল অর্ডার বাতিল হয়ে যাবে। পরে ৩০ জুলাই আকস্মিক এক নোটিশে ১ আগস্ট থেকে কারখানা খোলার ঘোষণা দেয় সরকার। এই ঘোষণার পর কাজে যোগ দিতে পায়ে হেঁটে, পণ্যবাহী ট্রাক, মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, রিকশায় চড়ে অতিরিক্ত ভাড়া ও ভোগান্তিকে সঙ্গে নিয়ে কর্মস্থলে ফেরেন শ্রমিকরা। তবে এখনো সব শ্রমিক ফিরতে পারেননি।