মাসুদ রানা, ময়মনসিংহ ব্যুরো: ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ১৮ টি ওয়ার্ডের ৩ হাজার ৪৭২ টি বাসাবাড়ির ৭০ ভাগ এডিস মশার লার্ভার উৎপত্তিস্থল মুক্ত। সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায়, সেভ দ্যা চিলড্রেনের কারিগরি সহায়তায় এবং ইউএস সিডিসি’র অর্থায়নে পরিচালিত এক ক্যাম্পেইনে এ চিত্র উঠে এসেছে। মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবনের শহীদ শাহাবুদ্দিন মিলনায়তনে ডেঙ্গু বিস্তার রোধে পরিচালিত ক্যাম্পেইনের ফলাফল অবহিতকরণ সভায় এ তথ্য জানান সিটি কর্পোরেশনে নিযুক্ত সেভ দ্যা চিলড্রেনের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. ফাহমিদা ইসলাম লিমা। ডা. লিমা আরও জানান, ৩০ ভাগ বাসাবাড়ি যেখানে এডিস মশার সম্ভাব্য উৎপত্তিস্থল রয়েছে, এর ১৬ ভাগের উৎস হলো ফুলের টব বা পাত্র, ১০ ভাগ বাসাবাড়ির চারপাশ এবং অন্যান্য উৎপত্তিস্থল থেকে ৪ ভাগ। এসব বাসাবাড়ির শতকরা ৭৮ ভাগ মানুষ দিনের বেলা ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করেন না।
তিনি জানান, সিটির ২, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৫, ১৭, ১৯, ২০, ২৫, ৩১, ৩২ ও ৩৩ এই ১৮ টি ওয়ার্ডের ৩২০ জন মানুষের মাঝে পরিচালিত এ ক্যাম্পেইনে দেখা গেছে, ৫০ ভাগ মানুষ ডেঙ্গু জ্বরের কারন সম্পর্কে এবং ৬৮ ভাগ মানুষ ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে জানেন না। যারা ডেঙ্গু রোগের কারন সম্পর্কে জানেন তাদের ৩৬ ভাগ মানুষ এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধে ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন এবং বাকি ১৮ ভাগ মানুষ তারা শুধু মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে ব্যবস্থা নেন। এছাড়া ৩ হাজার ৪৭২ টি বাসাবাড়ির ৮০ শতাংশ বাড়িতেই পানি জমিয়ে রাখা হয় না। যারা পানি জমিয়ে রাখেন তাদের ১৩ ভাগ এক দিনের বেশি এবং ৭ ভাগ ৩ দিনের বেশি পানি জমিয়ে রাখেন।
ফলাফল অবহিকরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন মসিকের প্রধান নির্বাহী মোঃ ইউসুফ আলী। এ সময় তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন শুরু থেকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। মশক নিধনের পাশাপাশি সচেতনতামূলক কার্যক্রমও জোরদার করা হয়েছে। এ ক্যাম্পেইন থেকে প্রাপ্ত ফলাফল সিটি কর্পোরেশনের ডেঙ্গু প্রতিরোধে গৃহিত কার্যক্রম সূমুহকে আরও কার্যকর করবে।অবহিতকরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন মসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এইচ কে দেবনাথ, জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ মহাবুল হোসেন রাজীব, মেডিকেল অফিসার ডা. আসমাউল ইসলাম রূম্পা, খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদার, স্যানেটারী ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলামসহ প্রমুখ।
