নিজস্ব প্রতিবেদক : অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন ও শান্তিময় বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও চেতনাকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
মঙ্গলবার (৩০ মে) রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ছাত্রজীবন থেকেই মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। দুর্ভীক্ষ-দাঙ্গায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শান্তির জন্য বিশ্বে বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে গিয়েছেন এবং নিপীড়িত, নির্যাতিত, শোষিত, শান্তি ও স্বাধীনতাকামী মানুষের পক্ষে আজীবন কথা বলে গেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু থেকে হয়ে উঠেন বিশ্ববন্ধু। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা দৃঢ়ভাবে ধারণ করে অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন ও শান্তির বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। জাতির পিতার জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তি ছিল বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত গৌরব ও সম্মানের।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নশীল দেশ। বাংলাদেশ এখন আর পরনির্ভরশীল নয়, স্বনির্ভর দেশ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হবে জাতির পিতার সোনার বাংলা। শিশুদেরকে বঙ্গবন্ধুর শান্তির আদর্শ মনে-প্রাণে ধারণ করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বাংলার বন্ধু থেকে হন বিশ্ববন্ধু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে আজ যে উন্নয়ন তার ফলে দেশের মানুষ সুখে ও শান্তিতে বসবাস করছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইননাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবেদা আক্তার ও অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মুহিবুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা জাতির পিতার জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির পঞ্চাশ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেন। আলোচনা পর্ব শেষে ছিল শিশুদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
