রংপুর বিড়ি শ্রমিক জনসভায় বিএটি’র আগ্রাসন বন্ধের দাবি

রংপুর বিড়ি শ্রমিক জনসভায় বিএটি’র আগ্রাসন বন্ধের দাবি

বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানীর ষড়যন্ত্র থেকে বিড়ি শিল্পকে বাঁচাতে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের আয়োজনে বিড়ি শ্রমিক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২০ মে) বিকাল ৩ টায় রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। জনসভায় আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির শুল্ক ১৮ টাকা থেকে ২ টাকা কমিয়ে ১৬ টাকা করা, বিড়ি শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানীর আগ্রাসন বন্ধ করা এবং বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানীর নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধ করার দাবি জানান শ্রমিকরা।

রংপুর (হারাগাছ) বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলুর সঞ্চালনায় জনসভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন (বিএসসি)। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) মেয়র মোস্তাফিজার রহমান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান।

জনসভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেন, লুৎফর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, সহ-সম্পাদক জামিল আকতার, সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।

জনসভায় বক্তারা বলেন, “বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে প্রায় ২০০টি বিড়ি কারখানা রয়েছে। এসব বিড়ি কারখানায় লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। অথচ ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানীর ষড়যন্ত্রে দেশের প্রাচীন শ্রমঘন এ শিল্পটি আজ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে এসে পৌঁছেছে। আগামী বাজেটে বিএটি’র দালালেরা বিড়ি শিল্পের শুল্ক বৃদ্ধির জন্য ষড়যন্ত্র করে চলেছে, তাদেরকে আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই। এই ব্রিটিশ আমেরিকা আমাদের দেশের শত্রু, সরকারের শত্রু ও জনগনের শত্রু। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিরোধীতা করে আমেরিকা-ব্রিটিশ সপ্তম নৌ-বহর পাঠিয়েছিলেন। সুতরাং এদেশে থেকে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানীর আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। একইসাথে প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্পকে রক্ষায় আগামী বাজেটে বিড়ির শুল্ক ১৮ টাকা থেকে ২ টাকা কমিয়ে ১৬ টাকা করতে হবে এবং শ্রমিকদের অন্নসংস্থানের অন্যতম মাধ্যম বিড়ি শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করতে হবে।

বক্তরা আরো বলেন, দেশের অর্থনীতিতে দেশীয় বিড়ি কারখানার মালিকদের অবদান অপরিসীম। এই শিল্পের মালিকরা এ দেশে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। অথচ বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানী ও দেশের কিছু এনজিও এই শিল্পকে ধ্বংস করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিড়ির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হলো নিম্নস্তরের সিগারেট। বর্তমানে নিম্নস্তরের সিগারেট বাজারের ৭৫ শতাংশ দখল করে আছে। এসব নিম্নস্তরের সিগারেটের সিংহভাগই বিদেশি কোম্পানির। দেশীয় শ্রমঘন বিড়ি শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষার্থে বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানীর নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধ করতে হবে। এছাড়া ব্রিটিশ-আমেরিকাসহ যেসব দেশ আমাদের প্রশাসনের উপর শ্যাংসন দিবে দেশবাসীকে তাদের সিগারেটসহ সকল পণ্য বর্জনের আহবান জানান বক্তরা।

More News...

পৃথিবীর বৃহত্তম দুর্নীতিতে বিজেপি: ভারতের অর্থমন্ত্রীর স্বামীর মন্তব্য

খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ: মির্জা ফখরুল