সাশ্রয়ী দামে পছন্দের কেনাকাটায় আরএস শপিং কমপ্লেক্স

সাশ্রয়ী দামে পছন্দের কেনাকাটায় আরএস শপিং কমপ্লেক্স

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়ার আরএস শপিং কমপ্লেক্স আশপাশের এলাকার মানুষের পছন্দের কেনাকাটার ঠিকানা। আধুনিক সুবিধা সম্বলিত এ শপিংমলে এরই মধ্যে ক্রেতাদের ঢল নামতে শুরু করেছে। বৈচিত্র্যময় আধুনিক পোশাকের সমারোহ, সাশ্রয়ী দামের কারণে এ এলাকার মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে এ বিপণি কেন্দ্রটি।

ভবনের চারতলা পর্যন্ত মার্কেট। এটি এ অঞ্চলের সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একমাত্র মার্কেট। এ শপিংমলে রয়েছে চলন্ত সিঁড়ি। এ অঞ্চলের মানুষের কাছে মার্কেটটি বসুন্ধরা সিটির মতো।

আশপাশের গোবিন্দপুর, মাতুয়াইল, শেখদী, জনতাবাগ, রায়েরবাগ, রসুলপুর, কাজলা, মেরাজনগর, পাটেরবাগ এলাকার মানুষ এ শপিংমলে কেনাকাটা করতে আসেন।

ঈদকে সামনে রেখে এরই মধ্যে শপিং কমপ্লেক্সটি জমে উঠেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর গিয়ে দেখা গেছে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ক্রেতাদের ভিড়। বিক্রিও ভালো বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তবে, কোনো কোনো দোকানদার জানিয়েছেন, ক্রেতাদের ভিড় থাকলেও বিক্রি কম।

মাতুয়াইল দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা আয়েশা আক্তার বলেন, আরএস মার্কেটে ভালো মানসম্পন্ন পোশাক পাওয়া যায়। দামও মোটামুটি সহনীয়। তাই ঈদে-চান্দে আমরা এ মার্কেট থেকেই কেনাকাটা করি। আমি মেয়ের জন্য একটা সারারা (জামা) কিনলাম। জামাটির দাম পড়েছে আড়াই হাজার টাকা। আরও কিছু কেনাকাটা করবো ঈদের দু-একদিন আগে, আজ দেখে গেলাম।

পপি আক্তার বলেন, আমরা ৫ বছরের ছেলের জন্য ৪০০ টাকায় একটি গেঞ্জি সেট, ৪০০ টাকায় পাঞ্জাবি ও ৫০০ টাকায় জুতা কিনলাম। দাম মোটামুটি আয়ত্তের মধ্যেই। আরামদায়ক পরিবেশে কেনাকাটর জন্য এ অঞ্চলে এমন আর কোনো মার্কেট নেই।

ইসমাইল হোসেন ৪০০ টাকায় একটি লুঙ্গি কিনেছেন। তিনি বলেন, ‘এখানে লুঙ্গি বিক্রির অনেকগুলো দোকান আছে। দাম-দর করে কিনা যায়।পরিবেশটাও ভালো।’

মার্কেটের নিচ তলায় রয়েছে কসমেটিকস, ব্যাগ, জুতা, খেলনা, ক্রোকারিজের দোকান। দ্বিতীয় তলায় পোশাকের দোকান। এসব দোকানে থ্রি-পিস, শাড়ি, পাঞ্জাবি, বিছানার চাদর, পর্দা, লুঙ্গি, শিশুদের পোশাক বিক্রি করা হয়। তৃতীয় তলায়ও রয়েছে পোশাকের দোকান। এরমধ্যে ছোটদের পোশাক, পুরুষের জামা ও প্যান্ট এবং মেয়েদের পোশাকের দোকানই বেশি। চতুর্থ তলায় মোবাইল ফোন ও ফোনের সরঞ্জাম বিক্রির দোকান। এ ফ্লোরের দক্ষিণপাশে রয়েছে গহনা জোন। জুয়েলারি দোকানগুলো রয়েছে এখানে।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, আশপাশে এ মানের আর কোনো শপিংমল নেই। অন্যান্য অভিজাত মার্কেটের সঙ্গে তুলনা করলে আরএস মার্কেটে পোশাকসহ জিনিসপত্রের দাম কম। আর এখানে বেশিরভাগ দোকানেই দামাদামি করার সুযোগ নেই।

এ মার্কেটের রাজ্জাক ফেব্রিক্সের মালিক এমদাদ হোসেন বলেন, ‘মার্কেটে ক্রেতাদের সমাগম অনেক। কিন্তু সেই অনুপাতে বেচাকেনা কম। গতবছর যেমন একাধারে বেচাকেনা হয়েছে, এবার তেমন না।’

তিনি বলেন, মানুষের ভিড় থাকলে বিক্রি কম। ক্রেতাদের সঙ্গে দামের সমন্বয় হচ্ছে না।’ কিন্তু উল্টো কথা জানালেন লাক্সারি ফ্যাশনের মালিক টুটুল হোসেন। তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ বেচাকেনা খারাপ না ভালোই হচ্ছে। আমরা থ্রি-পিস, গাউন, লেহেঙ্গা, সারারা, গারারা বিক্রি করি। মানুষ আসছেন, কিনছেনও।’

তৃতীয় তলার মেয়েদের পোশাক বিক্রি করা লেডিস জোনের মালিক হাবিব মৃধা বলেন, ‘গত শুক্র ও শনিবার ভালো বিক্রি হয়েছে। এরপর ক্রেতা সমাগম একটু গম। গত বছরের সঙ্গে যদি তুলনা করি, তবে সেই তুলনায় বিক্রি কম। আশা করছি, আগামী দিনগুলোতে বিক্রি বাড়বে।’

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২২ বা ২৩ এপ্রিল দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এক মাস রোজা রাখার পর ঈদের দিন নতুন পোশাক পড়েন মুসলমানরা। ঈদ উপলক্ষে প্রিয়জনকে নতুন পোশাক উপহারও দেওয়া হয়।

More News...

খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ: মির্জা ফখরুল

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা