তীব্র খরায় বোরো আবাদে অতন্ত্র প্রহরী সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি

তীব্র খরায় বোরো আবাদে অতন্ত্র প্রহরী সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : শেখ হাসিনার বাংলাদেশ; ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চলতি বোরো আবাদ মৌসুমে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিশ্চিত করায় মোট লক্ষ্যমাত্রা দুই-তৃতীয়াংশ জমিতে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। মৌসুমের শুরুতেই তীব্র খরা আর অনিশ্চিত আবাদে কৃষকরা শঙ্কিত থাকলেও সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউর রহমান সেচ গ্রাহকদের সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে মাঠ পর্যায়ে তদারকি করেছেন। অনুসন্ধানের সময় সেচ গ্রাহক কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ সরদারের পুত্র নুরুল হক সরদার, তালা উপজেলার খলিষখালী ইউনিয়নের কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের আবুল খায়েরের পুত্র মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গাভা ফিংড়ি গ্রামের কার্তিক বিশ্বাসের পুত্র মেঘনাথ বিশ্বাস সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তের সেচ গ্রাহকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তদারকি ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সত্যিই প্রশংসনীয় ও দৃষ্টান্ত।

সরেজমিন অনুসন্থানে জানা গেছে, সাতক্ষীরায় এবারের ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বোরো আবাদ মৌসুমে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪.০৫ মেঃ টন। আর আবাদ হয়েছে ৭৭ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে। সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তথ্য অনুযায়ী এ জেলায় মোট সেচ গ্রাহক ৪ হাজার ৯শ ১৩টি। চলতি মৌসুমে সেচ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে ২শ ৯৮টি। নতুন সেচ সংযোগে চলতি মৌসুমে ২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। বর্তমানে জ্বালানী মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় বোরো আবাদের সাথে মাছ চাষও বৃদ্ধি পেয়েছে। সেক্ষেত্রে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী ১ ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে সে কারণে সেচ গ্রাহকদের কোন প্রকার হয়রানী ছাড়াই অল্প সময়ে সংযোগ প্রদান করছেন। এবিষয়ে তথ্য অনুসন্ধানে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউর রহমান এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, অপর সম্ভাবনাময় জেলা সাতক্ষীরা।

আরইবি’র নির্দেশনা ও দেশের দূর্যোগকালীন সময়ে অধিক ফসল উৎপাদনে তিনি সহ বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সাতক্ষীরা জেলার প্রত্যন্ত এলাকার বোরো আবাদের মাঠ ঘুরে সার্বক্ষণিক তদারকি করেছেন। সম্প্রতি সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ঢালী ইউসুফ আহম্মেদ, পরিচালক (প্রশাসন) পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, ঢাকা, সমিতি বোর্ডের সভাপতি রহিমা খাতুন সহ একাধিক কর্মকর্তা, কর্মচারী কৃষকদের সাথে সরাসরি ক্ষেতে গিয়ে খোঁজখবর নেন।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ছঘরিয়া এলাকার সেচ গ্রাহক আব্দুস সামাদ, রমজান আলী, আবু বক্কর শেখসহ একাধিক কৃষকরা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় চাষাবাদে যে সুযোগ সুবিধা তা সত্যিই অনবদ্য। জ্বালানী তেলের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে মাত্র ৪ টাকা ৮২ পয়সা ইউনিট প্রতি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ধান উৎপাদনে লাভের মুখ দেখছেন। কেননা সংযোগ স্থাপনের পর আবাদ শেষ হওয়া পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু রাখা হয়। মূলধন না থাকলেও বিদ্যুৎ সংযোগের কারণে ধান গোলায় উঠিয়ে একবারেই বিদ্যুতের মূল্য পরিশোধ করার সুযোগ থাকায় বোরো আবাদ এখন অনেক বেশি লাভজনক।

More News...

১৭৩ জন বাংলাদেশী মিয়ানমার কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন

বিড়ির শুল্ক প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে পাবনায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান